বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা পরাজিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আফরোজা বেগম পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানিয়েছেন। অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফলাফলের গেজেট প্রকাশ না করতে এবং অন্যান্য কার্যক্রম স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রংপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আফরোজা ওই দাবি জানান। এর আগে ওই দিন তিনি ওই পদে পুনরায় ভোট গণনা করতে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাবর আবেদন করেছেন।
ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে গত ৫ জুন বদরগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১ হাজার ৮৬১ ভোটের ব্যবধানে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী রুবিনা আখতারের কাছে পরাজিত হন আফরোজা বেগম। রুবিনা আখতার ৩৬ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে। আফরোজা পান ৩৪ হাজার ৯১৪ ভোট। আর লিপি ইসলাম প্রজাপতি প্রতীকে ২৫ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ হাজার ৬৮৯ ভোট বাতিল দেখানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আফরোজা বেগম বলেন, চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে যে ভোটের সংখ্যা দেখানো হয়েছে তাতে গরমিল রয়েছে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ হাজার ৬৮৯ ভোট বাতিল দেখানো হয়েছে, এটি নজিরবিহীন। অথচ চেয়ারম্যান পদে ২ হাজার ২২৪ ভোট বাতিল হয়েছে।
আফরোজা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাকে পরাজিত করতে পরিকল্পিত ভাবে হাজার হাজার ভোট বাতিল দেখানো হয়েছে। আমি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় ভোট গণনার দাবি করছি।’
আফরোজা বেগমের দাবি, ভোট গণনার সময় ফলাফলে প্রকাশে বিলম্ব করা হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে ভোট সংখ্যা বড়পর্দায় দেখানো হলেও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটের হিসাব এক ঘণ্টারও বেশি সময় দেখানো হয়নি। এ নিয়ে সাধারণ ভোটাররা উত্তেজিত হলে সার্ভার জটিলতার দোহাই দেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার। অথচ একই সময়ে চেয়ারম্যান পদে ভোটের ফল ঠিক দেখানো হয়। অনেক দেরিতে ফলাফল ঘোষণা করা হলেও সেখানে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ হাজার ৬৮৯ ভোটটি বাতিল দেখানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্টদের হাতে রেজাল্ট শিট দেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারী সেই রেজাল্ট শিট নিয়ে যোগ করে দেখতে পারেন।’ ওই প্রার্থীর অভিযোগ ভীতিহীন বলে উল্লেখ করেন ইউএনও। এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, ‘১২ হাজার ভোট নষ্ট বের হলে এখানে কারও করার কিছুই নেই।’