দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়ায় খুশি হবিগঞ্জের চা-শ্রমিকেরা। তবে কর্মবিরতি পালন করা এই শ্রমিকেরা আজ রোববার কাজে ফেরেননি।
শ্রমিকেরা বলছেন, রোববার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে কাজে ফেরেননি তাঁরা। তবে আগামীকাল সোমবার থেকে যথারীতি কাজে ফিরবেন। কাজে না ফিরলেও ১৭০ টাকা মজুরিকে স্বাগত জানিয়ে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন হবিগঞ্জের চা-শ্রমিকেরা।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চা-শ্রমিকদের মজুরি ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এতে হবিগঞ্জের ২৪টি বাগানের শ্রমিকেরা খুবই খুশি।’
তিনি বলেন, ‘তবে আজ রোববার বাগানে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন। তাই কোনো শ্রমিক কাজে ফেরেননি। আগামীকাল থেকে যথারীতি কাজে যাবেন। তবে বাগানের মালিক পক্ষ যদি চায়, তাহলে নগদ তলবে শ্রমিকেরা কাজে যেতে প্রস্তুত আছেন।’
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক নারী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সন্ধ্যা রানী ভৌমিক বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল ৩০০ টাকা মজুরি। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেহেতু ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, আমরা তাতেই খুশি। আমরা আনন্দ নিয়ে সোমবার থেকে কাজে ফিরে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছি এবং রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করেছি। এর জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।’