১২০ টাকার দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে হবিগঞ্জের ২৪টি চা-বাগানে অষ্টম দিনের মতো কর্মবিরতি চলছে। আজ শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন চা-বাগানের কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপাতত শ্রমিকদের মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আপাতত এই মজুরিতে কাজে ফিরতে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আজকে বিকেলে আলোচনায় বসা হবে।’
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নৃপেন পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরির দাবিতে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে ৯ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিকেরা। এই চার দিন শ্রমিকেরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এরপর দাবি আদায় না হওয়ায় ১৩ আগস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। এদিন চা-শ্রমিকেরা চান্দপুর এলাকায় পুরোনো ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে সেখান থেকে কয়েক হাজার চা-শ্রমিক পায়ে হেঁটে চুনারুঘাট পৌর এলাকায় প্রধান সড়কে অবস্থান নেন এবং সেখানে সড়ক অবরোধ করে পথসভা করেন।
নৃপেন পাল বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে ১৬ আগস্ট শ্রীমঙ্গলের লেবার হাউসে বেলা ১১টায় শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন। আমরা তাঁর কাছে আমাদের বিভিন্ন সমস্যা ও দাবি তুলে ধরি। তিনি গুরুত্বসহকারে আমাদের কথাগুলো শোনেন এবং আমাদের আশ্বস্ত করেন। তখন শোকের মাস বিবেচনা করে এবং সরকারের প্রতিনিধিদল যেহেতু আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন, তাই ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ ও রাজপথের আন্দোলন স্থগিত করি।
গত বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় শ্রম অধিদপ্তরে চা-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও মালিক সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন। কিন্তু তখনো আমাদের মজুরি বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় বৃহস্পতিবার শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করেন।