ঘুষের টাকা লেনদেনের ঘটনার প্রধান আসামি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ইসরাইল আলী সাদেকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার তিনি সিলেট অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নুরে আলম ভূঁইয়ার আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ইসরাইল আলী সাদেক গত ২৩ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন।
সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী কৃপা সিন্ধু পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাদেক উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন। তার জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
এর আগে ৯ জানুয়ারি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘুষ লেনদেনের সময় নগদ টাকাসহ দুই নার্সকে আটক গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত বাংলাদেশ নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেক পালিয়ে যান। পরে ওই দিন রাতে হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ হানিফ মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স (ব্রাদার) ইসরাইল আলী সাদেককে প্রধান আসামি করা হয়। বাকি আসামিরা হলেন-হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. আমিনুল ইসলাম (৪৫) ও সিনিয়র স্টাফ নার্স সুমন চন্দ্র দেব (৪১)।
এর মধ্যে সুমন চন্দ্র দেব উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হলেও মো. আমিনুল ইসলাম এখনো কারাগারে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএইচএম রাশেদ ফজল।