সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের ধুবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দানিছুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস।
আজ বুধবার দুপুরে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক দানিছুর রহমানের বিরুদ্ধে গত ২৪ মে দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা ওই দিনই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে ঘটনার পরের দিন বিকেলে ছাত্রীর মা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ওই দিন রাতেই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্মপাশা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল ও আহসান উল্লাহ মুকুলকে বিষয়টি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। গত সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তদন্ত কমিটি বিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত করে এর সত্যতা পেয়েছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বলেন, ‘শিক্ষক দানিছুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।’