কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারে মনু ও ধলাই নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এখনো প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী আছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন ৭ হাজার ১৪৫ জন মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, মনু নদীর রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ধলাই নদীর রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারে গত দুদিন ধরে বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় জেলার ৭ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে অনেক মানুষ পানিবন্দী আছেন। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। হঠাৎ বন্যায় সবকিছু হারিয়ে অনেকে অসহায় হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ আশ্রয় নিচ্ছেন প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, ৪৭ আশ্রয় কেন্দ্রে খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৭ হাজার ১৪৫ জন মানুষ উঠেছেন। বন্যার্তদের জন্য বরাদ্দ করা অর্থ ও চাল বিতরণ কার্যক্রম চলছে। জেলায় আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী আছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বন্যাদুর্গত এলাকায় প্রশাসনের পাশাপাশি উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংঘটন এবং স্বেচ্ছাসেবকেরা। বন্যাদুর্গত এলাকায় চিড়া, পানি, স্যালাইন ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হলেও অনেক এলাকার বাসিন্দারা জানান, তাঁদের কাছে কেউ এখনো সহায়তা নিয়ে আসেননি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘জেলার মনু ও ধলাই নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। মনু ও ধলাই নদী (রেলওয়ে ব্রিজ) এর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধীর গতিতে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে।’