নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে আদালতে নিয়ে আসা হলে উত্তেজিত জনতা মানিককে লক্ষ্য করে ডিম-জুতা নিক্ষেপ এবং পুলিশি বেষ্টনী ডিঙিয়ে কিল-ঘুষি মারতে দেখা গেছে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তাবলয় তৈরি করে তাঁকে দ্রুত আদালতে নিয়ে যান।
আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তাঁকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে আদালত চত্বরে নিয়ে আসা হলে এমনটা দেখা যায়।
কানাইঘাট থানা-পুলিশ ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তারের পর সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ (আমলী আদালত-৫ কানাইঘাট কোর্ট) আলমগীর হোসাইনের আদালতে প্রেরণ করে। আদালত তাঁকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে কোর্ট ইন্সপেক্টর জামসেদ আলম। তিনি বলেন, ‘আসামি এ এইচ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তারপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করে কানাইঘাট থানা-পুলিশ। চালান মোতাবেক এই আসামি ঢাকা, লালবাগ, বাড্ডা এবং আদাবরসহ বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় এজাহারভুক্ত হওয়ায় তাঁকে জেলহাজতে আটক রাখার জন্য নির্দেশ দেন। সব জায়গায় আমাদের এখান থেকে বার্তা যাবে। তখন যাদের থানায় মামলা আছে, তারা নিজ নিজ মামলায় গ্রেপ্তার দেখাবে।’
‘মানিকের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না’—জানিয়ে ইন্সপেক্টর জামসেদ আরও বলেন, ‘সাবেক বিচারপতি হিসেবে জেল কোডের বিধান অনুযায়ী সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য জেল সুপারকে বলেছেন আদালত।’
আসামি আদালতকে বলেছেন, তিনি বয়স্ক মানুষ। শারীরিকভাবে অসুস্থ। আটককালীন তাঁকে চিকিৎসার পাশাপাশি সাবেক বিচারপতির সুযোগ-সুবিধা যেন দেওয়া হয়। তখন আদালত নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে মানিককে আদালতে তোলার সময় অনেকে তাঁর দিকে ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করে। কেউ কেউ মানিককে কিল-ঘুষি মারে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে তাঁকে আটক করে বিজিবির ১৯ ব্যাটালিয়ন।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘সকালে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা তাঁকে আদালতে প্রেরণ করেছি।’