সারা দেশের মতো সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে চলমান তাপপ্রবাহে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষের। এই পরিস্থিতির মধ্যে উপজেলায় দিনে মাত্র ৬-৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকছে। স্বাভাবিক কাজ-কর্ম ব্যাহত হওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন উপজেলাবাসী।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ধর্মপাশা উপ-আঞ্চলিক কার্যালয় ও গ্রাহকেরা জানান, মধ্যনগর উপজেলা নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায়। এখানে প্রায় ২৫ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। দুই সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট শুরু হয়েছে। দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সর্বোচ্চ ৬-৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে শিশু ও বয়স্ক মানুষ বেশি কষ্টে রয়েছেন।
উপজেলার মধ্যনগর বাজারের ব্যবসায়ী লিটন বনিক বলেন, ‘নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছি। অথচ বিদ্যুতের অবস্থা এখন খুবই নাজুক। দিনে-রাতে সব মিলিয়ে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এতে ব্যবসার খুব ক্ষতি হচ্ছে।’
স্থানীয় শিক্ষক অজয় রায় বলেন, ‘অসহনীয় তাপপ্রবাহে জনজীবনে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই অবস্থার উত্তরণে সংশ্লিষ্টরা দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে গ্রীষ্মের অসহনীয় গরমে মানুষের বিভিন্ন রোগ-বালাই বেড়ে যাবে। সীমাহীন বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের ফলে প্রতিদিনের কাজসহ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ব্যাঘাত ঘটছে।’
কথা হয় স্থানীয় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক রাতুল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কারেন্ট ঠিকমতো না থাকায় গাড়ির চার্জ হয় না। তাই প্রতিদিন গাড়ি চালাইতাম হারতাছি না। খুব কষ্টের মধ্যে দিন যাইতাছে।’
নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ধর্মপাশা উপ-আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মধ্যনগর উপজেলায় প্রায় ২৫ হাজার গ্রাহক আছেন। বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে আড়াই মেগাওয়াট। এর বিপরীতে লোড কম থাকায় ও বিভিন্ন কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সব চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’