যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের পক্ষে কথা বলেছে মার্কিন বাণিজ্য সংগঠন আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ)। দেশটির আন্তর্জাতিক ট্রেড কমিশনের শুনানিতে অংশ নিয়ে সংগঠনটি বলেছে, উচ্চ শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পোশাক প্রবেশ করানোর পরও সরবরাহে তৃতীয় অবস্থানে আছে এই দেশ।
এএএফএ, বিজিএমইএ এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। শুনানিতে এএএফএ আরও বলেছে, কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নত করা, জোরপূর্বক শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অবসান ঘটানো, মানসম্পন্ন পণ্য তৈরি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অব্যাহত প্রচেষ্টার কারণেই দেশটি মার্কিন বাজারে এগিয়ে থাকতে পেরেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ট্রেড কমিশন সম্প্রতি বাংলাদেশ, ভারত, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তান থেকে দেশটিতে আমদানি করা পোশাকের দাম বাড়া নিয়ে তদন্তের অংশ হিসেবে শুনানির আয়োজন করে। এতে অংশ নিয়ে এএএফএ ভাইস প্রেসিডেন্ট বেথ হাগিশ বলেন, এই পাঁচ দেশ যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানির গুরুত্বপূর্ণ উৎস। দেশগুলো থেকে পোশাক আনা প্রতিযোগিতাপূর্ণ। কারণ তারা এরই মধ্যে দায়িত্বশীল, বিশ্বস্ত ও দক্ষ শিল্প হিসেবে গড়ে উঠেছে। শুধু তা-ই নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিশ্বকে দূষণমুক্ত রাখতে কার্বন নিঃসারণও কমিয়ে আনছে দেশগুলো।
বেথ হাগিশ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা এই খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন। ফলে আমাদের সরবরাহব্যবস্থায় তাঁরা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও ভালো অবদান রাখতে পারছেন এবং তাঁদের এই প্রচেষ্টা সামনেও অব্যাহত থাকবে।’
শুনানির বিষয়ে বিজিএমইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুনানিতে আমাদের পোশাক খাত নিয়ে এএএফএর বক্তব্যের কথা শুনেছি। এখনো সাংগঠনিকভাবে পর্যালোচনা করিনি। তবে এটুকু বলতে পারি, পোশাক খাতের এখন ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এসব সম্ভাবনা কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমাদের উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। শুধু দামের ওপর আমরা টিকে থাকতে পারছি না। এর পরও রপ্তানির বিল পাওয়া নিয়ে নানা জটিলতা। এসব সমস্যা নিরসন দরকার।’