নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পণ্য রপ্তানি থেকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার আয় দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৯৪ কোটি ২৬ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে এ আয় ছিল ২ হাজার ৯৮০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
অন্যদিকে ফেব্রুয়ারি মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৯৭ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ কোটি ডলার বেশি। এর আগের মাস জানুয়ারিতে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪৪৩ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৫.৭ শতাংশ বেশি। তবে জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি কমেছে ৩ শতাংশ। আগের মাসে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন পর্যালোচনা থেকে পাওয়া গেছে এমন তথ্য।
অর্থাৎ বিশ্ববাজারের সংকট সত্ত্বেও বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক রয়েছে। চলতি অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার কোটি ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ১২.৪৪ শতাংশ বেশি। বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, রপ্তানি প্রবৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে চীনের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে, যা বাংলাদেশি পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান শক্তিশালী করে রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান মনে করেন, বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত রাখতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন এবং গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করা জরুরি। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা গেলে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির গতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
ইপিবির তথ্যমতে, রপ্তানি আয়ের মূল চালিকাশক্তি তৈরি পোশাক খাত, যা বরাবরের মতোই উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ২ হাজার ৪২১ কোটি ৯৩ লাখ ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। এর পাশাপাশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, কৃষিপণ্য, হিমায়িত মাছ এবং প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি লক্ষ করা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক শুল্ক নীতির ফলে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। চীনের ওপর শুল্ক আরোপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকেরা বিকল্প খুঁজছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সুযোগ। এ ছাড়া চীন থেকে বিনিয়োগকারীরা কারখানা সরিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারেন, তবে এজন্য ব্যবসার পরিবেশ সহজতর এবং দুর্নীতি ও অনিয়ম কমানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে ২০২৫ সালে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার আরও বাড়তে পারে। তবে দেশে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে না পারলে সম্ভাবনাগুলো পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হবে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে হলে ব্যবসাবান্ধব নীতি গ্রহণের পাশাপাশি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শক্তিশালী জ্বালানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া গেলে বাংলাদেশ রপ্তানি বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে এবং প্রবৃদ্ধির হার টেকসই থাকবে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পণ্য রপ্তানি থেকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার আয় দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৯৪ কোটি ২৬ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে এ আয় ছিল ২ হাজার ৯৮০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
অন্যদিকে ফেব্রুয়ারি মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৯৭ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ কোটি ডলার বেশি। এর আগের মাস জানুয়ারিতে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪৪৩ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৫.৭ শতাংশ বেশি। তবে জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি কমেছে ৩ শতাংশ। আগের মাসে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন পর্যালোচনা থেকে পাওয়া গেছে এমন তথ্য।
অর্থাৎ বিশ্ববাজারের সংকট সত্ত্বেও বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক রয়েছে। চলতি অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার কোটি ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ১২.৪৪ শতাংশ বেশি। বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, রপ্তানি প্রবৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে চীনের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে, যা বাংলাদেশি পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান শক্তিশালী করে রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান মনে করেন, বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত রাখতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন এবং গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করা জরুরি। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা গেলে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির গতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
ইপিবির তথ্যমতে, রপ্তানি আয়ের মূল চালিকাশক্তি তৈরি পোশাক খাত, যা বরাবরের মতোই উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ২ হাজার ৪২১ কোটি ৯৩ লাখ ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। এর পাশাপাশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, কৃষিপণ্য, হিমায়িত মাছ এবং প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি লক্ষ করা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক শুল্ক নীতির ফলে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। চীনের ওপর শুল্ক আরোপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকেরা বিকল্প খুঁজছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সুযোগ। এ ছাড়া চীন থেকে বিনিয়োগকারীরা কারখানা সরিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারেন, তবে এজন্য ব্যবসার পরিবেশ সহজতর এবং দুর্নীতি ও অনিয়ম কমানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে ২০২৫ সালে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার আরও বাড়তে পারে। তবে দেশে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে না পারলে সম্ভাবনাগুলো পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হবে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে হলে ব্যবসাবান্ধব নীতি গ্রহণের পাশাপাশি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শক্তিশালী জ্বালানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া গেলে বাংলাদেশ রপ্তানি বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে এবং প্রবৃদ্ধির হার টেকসই থাকবে।
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চলতি মাসের ২৭ এপ্রিল থেকে কার্গো অপারেশন চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আজ বিমানবন্দরটি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
৭ ঘণ্টা আগেচলতি মাসে উচ্চপর্যায়ের একটি জার্মান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছে। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা। এই প্রতিনিধিদলে জার্মান পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, দেশটির রপ্তানি ঋণ সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর
১৪ ঘণ্টা আগেবিশ্বখ্যাত অডিট ফার্ম পিডব্লিউসি বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে। বিশালাকার এই অ্যাকাউন্টিং ফার্মটির কর্তাব্যক্তিদের মতে, ছোট, ঝুঁকিপূর্ণ বা অলাভজনক বিবেচিত এক ডজনের বেশি দেশে ব্যবসা বন্ধ করেছে। কেলেঙ্কারির পুনরাবৃত্তি এড়াতেই তাদের এই পদক্ষেপ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল...
১৭ ঘণ্টা আগেচলতি অর্থবছরের মাত্র তিন মাস বাকি থাকলেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে এখনো খরচ করা বাকি রয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য বলছে, জুলাই-মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে খরচ হয়েছে ৮২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা, যা মোট সংশোধিত এডিপির...
১ দিন আগে