ঈদের পর খুলেই সূচকের বড় পতন পুঁজিবাজারে। এদিন সূচক কমে ৫ হাজার ৭০০ পয়েন্টের ঘরে নেমে এসেছে। আর লেনদেনও ঠেকেছে ৩০০ কোটির ঘরে। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগে টানা ৩ কার্যদিবস শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকে। বিনিয়োগকারীরা আশা করেছিলেন ঈদের পর শেয়ারবাজার হয়তো ইতিবাচক ধারায় ফিরবে; কিন্তু তা না হয়ে বরং তলানিতে এসে ঠেকেছে লেনদেন।
বাজার বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ইসরায়েলে ইরানের হামলার জেরে বাজারে এ ধস হতে পারে। গতকালও লেনদেন শুরু হওয়ার পর থেকেই ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে এই আলোচনা হয়েছে। গতকাল সোমবার লেনদেন শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সূচকের বড় পতন হয়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিক্রির চাপ বাড়তে থাকে, ফলে পতনও বড় হতে থাকে।
দিনশেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৩২টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৩৬টি প্রতিষ্ঠানের। আর ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৮৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৭৮ পয়েন্টে নেমে গেছে।
সূচকের বড় পতনের পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণ কমে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে গেছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৬৭ কোটি ৫৩ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৪৩ কোটি ৮৪ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৭৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
ডিএসইর এক সদস্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, যেকোনো ধরনের অনিশ্চিত পরিস্থিতি শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এখন ইরান-ইসরায়েল পরিস্থিতিও শেয়ারবাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। কারণ ইরান-ইসরায়েল পরিস্থিতি নতুন বৈশ্বিকসংকট সৃষ্টির আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। পুঁজিবাজার এমনিতেই স্পর্শকাতর।
ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে লাভেলো আইসক্রিম, শাইনপুকুর সিরামিকস, কোহিনূর কেমিক্যাল, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ এবং ওরিয়ন ইনফিউশন।