পাকিস্তান থেকে সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ বাংলাদেশে আসায় সময় ও খরচ কমার ফলে দুদেশই উপকৃত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ। আজ মঙ্গলবার বিকালে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ইন্দো-মুসলিম সভ্যতার অংশ হিসেবে উপমহাদেশে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত সম্পর্ক রয়েছে। এসম্পর্কের ভিত মজবুত করতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
ইতোমধ্যে পাকিস্তান থেকে পণ্যবাহী জাহাজ বাংলাদেশে এসেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এতে সময় ও খরচ কম হওয়ায় দুদেশই উপকৃত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে চিনি, পেয়াজ ও খেজুর রপ্তানিতে পাকিস্তান সরকার আগ্রহী। পাকিস্তানে গম উৎপাদিত হলেও রপ্তানি করা হয় না। তবে উদ্বৃত্ত উৎপাদন হলে গম রপ্তানিতে বাংলাদেশকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, রমজানকে সামনে রেখে সরকার পেঁয়াজ, চিনি ও খেজুরসহ নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সে কারণে বিভিন্ন দেশের সাথে ব্যবসায়িক এনগেজমেন্ট বাড়াতে চায় সরকার।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি বাণিজ্যিক জাহাজ পরিচালনা, দুদেশের ব্যবসায়ীদের এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের কার্যক্রম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেন।
উপদেষ্টা বলেন, সরকার দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষকে ভর্তূকি মূল্যে পণ্য বিতরণ করে থাকে। এর মধ্যে চাল, পেয়াজ, চিনি, ভোজ্য তেল ও ডাল অন্যতম। সরকারের ভর্তূকি মূল্য পণ্য বিতরণ মানুষের জীবনকে একটু সহজ করতে ভূমিকা রাখে।
উপদেষ্টা বলেন, সার্ক পুনর্জীবিত হলে সদস্য দেশ গুলো উপকৃত হবে। দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরো জোরালো হবে।
সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন ও এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।