পাকিস্তান থেকে আরও ২৬ হাজার ২৫০ টন চাল চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, গত ৩১ জানুয়ারি জিটুজি চুক্তির আওতায় এসব চাল কেনা হয়েছে। চাল নিয়ে এমভি মরিয়ম জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা শেষে খালাসের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এর আগে ৫ মার্চ পাকিস্তান থেকে সরকারি উদ্যোগে আমদানি করা চালের প্রথম চালানে ২৬ হাজার ২৫০ টন চাল আমদানি হয়। এর ফলে পাকিস্তান থেকে মোট ৫২ হাজার টন চাল আমদানি করা হলো।
গত বছর দেশে সরকারিভাবে মাত্র ৪ হাজার ৬০০ টন চাল আমদানি করা হয়। তবে চলতি বছর দেশের খাদ্যনিরাপত্তা বাড়াতে সরকারি গুদামে সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহের পাশাপাশি বিশ্ববাজার থেকেও চাল আমদানি করা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জিটুজি ভিত্তিতে দেশে মোট ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছে। ভারত, মিয়ানমারের পাশাপাশি পাকিস্তান ও ভিয়েতনাম থেকে এসব চাল আমদানি করা হবে।
এর মধ্যে গত জানুয়ারিতে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানির জন্য অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি অনুমোদন দেয়। সে অনুযায়ী পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন আতপ চাল রপ্তানির প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশকে। প্রতি টন ৪৯৯ মার্কিন ডলার হিসাবে পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চালের আমদানি মূল্য দাঁড়ায় ২ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চলতি বছরের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে মোট ৫ লাখ ৭৫ হাজার টন চাল আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে সরকারিভাবে আমদানি হয়েছে ৩ লাখ ১১ হাজার টন চাল; বাকিটা বেসরকারিভাবে আমদানি করা হয়েছে।