ব্যাংকিং লেনদেনে সুদ খেতে চান না এমন গ্রাহকের বরাবরই আস্থা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ওপর। এটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক হওয়ায় তার পরিচালনায়ও সব সময় ইসলামি বিধানের প্রয়োজন হয়। এ বাস্তবতা মেনে যাঁদের মধ্যে ইসলাম রয়েছে, এমন যোগ্য ব্যক্তি দিয়ে ফের ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের দাবি উঠেছে। গতকাল শনিবার ‘শরিয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা: অবৈধ প্রভাব থেকে রক্ষার লক্ষ্যে আয়োজিত ‘গ্রাহক সমাবেশ’ থেকে এ দাবি তোলা হয়েছে।
রাজধানীর দিলকুশায় হোটেল পূর্বাণীতে আয়োজিত এই গ্রাহক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ। এ সময় ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনকারী গ্রাহক ও বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, যাঁরা ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাঁদের মধ্যে ইসলাম ছিল। সেই আলোকেই ইসলামী ব্যাংকের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও ইসলামি ভাবধারার চেতনা নিয়েই ভিড়েছিলেন এই ব্যাংকে। কিন্তু বিগত সময় অন্যায়ভাবে ব্যাংকটি বেদখল হয়েছে। এতে ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডে ইসলামও হারিয়ে গেছে। এতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও। এ অবস্থায় ইসলামী ব্যাংকের হারানো স্বকীয়তা ফিরিয়ে আনতে হলে ২০১৭ সালে ব্যাংকটি দখলের আগের পর্ষদের লোকদের ফেরাতে হবে। যাঁদের মধ্যে ইসলাম রয়েছে, এমন যোগ্য ব্যক্তি দিয়ে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করারও প্রস্তাব রাখেন এই অর্থনীতিবিদ
এই গ্রাহক সমাবেশে ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান এবং এস আলমের সহযোগী ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এবং স্বতন্ত্র পরিচালক খুরশীদ ওহাবকে বাদ দিয়ে পর্ষদ পুনর্গঠন করার দাবি তোলেন সভার আহ্বায়ক এবং বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সাবেক সভাপতি আব্দুল হক। তিনি লুণ্ঠিত অর্থ ও লুটেরাদের দেশে ফিরিয়ে আনা এবং বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
ব্যাংকটির গ্রাহক ও জামাল উদ্দিন টেক্সটাইলের মালিক জামাল উদ্দিন বলেন, বিগত সরকারের বিশেষ বাহিনীর সহায়তায় লুটেরাদের মাধ্যমে ২০১৭ সালে ব্যাংক বেদখলের পরই এর সর্বনাশ হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের এ করুণ পরিণত থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তিনি ইমান-আকিদার লোক দিয়ে ইসলামী ব্যাংক পরিচালনা করার জোরালো দাবি জানান।