নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবসায়িক ব্যয় কমাতে সুদের হার সহনীয় পর্যায়ে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ দাবি জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বর্তমানে দেশের অর্থনীতি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। এর মধ্যে ভ্যাট ও কর বৃদ্ধির সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদহার ব্যবসায়িক খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে, যা সরাসরি পণ্যের দামে প্রভাব ফেলে। সুদহার সহনীয় পর্যায়ে রাখলে এটি মূল্যস্ফীতি কমানোর পাশাপাশি ব্যবসার খরচ কমাতে সাহায্য করবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের সুবিধা পেতে ৩১টি ডকুমেন্ট দিতে হয়। এ কারণে তাঁরা সমস্যায় পড়েন। তাঁদের জন্য এই প্রক্রিয়া সহজতর করা জরুরি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করে বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। আশা করি, শিগগির এর ইতিবাচক প্রভাব বাজারে দেখা যাবে। আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে আমদানির ক্ষেত্রে মার্জিন ছাড়াই ঋণপত্র (এলসি) খোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গভর্নর বলেন, বর্তমানে ডলারের সংকট নেই এবং এর মূল্যও স্থিতিশীল রয়েছে। ডলারের মূল্য আমদানি ও চাহিদার ওপর নির্ভরশীল থাকবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি মূল্য নির্ধারণ করবে না। রেমিট্যান্সপ্রবাহ, রপ্তানি আয় এবং রিজার্ভ ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।
গভর্নর আশা প্রকাশ করেন, আগামী জুন-জুলাই নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসবে। পরিস্থিতি অনুকূল হলে সুদের হার আরও কমানো সম্ভব হবে। এ ছাড়া ব্যাংকঋণের শ্রেণিকরণের সময়সীমা তিন মাস থেকে বাড়ানোর বিষয়টি পর্যালোচনায় রাখা হবে।