বান্দরবানের লামায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার একটি ইউনিয়নে ওই ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার নারী অভিযুক্তের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সৎ ভাশুরকে প্রধান আসামি ও অজ্ঞাত একজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ভুক্তভোগী গৃহবধূ প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাইরে বাইরে বের হন। সৎ ভাশুর তাঁর মুখ চেপে ধরেন। এ সময় অজ্ঞাত আরও একজনের সহযোগিতায় তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। পরে গৃহবধূর দেড় ভরি স্বর্ণ ও ৫৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
পরিবারের পক্ষে ভুক্তভোগী নারীর দেবর জানান, বাড়িতে তাঁর প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রী ও দুই শিশু ছিল। রাত ২টার দিকে তাঁর ভাবি টয়লেটে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হলে তাঁর সৎ ভাই মুখ চেপে ধরে পাশে নিয়ে যায়। এ সময় দুই শিশুকে ঘরে তালা দিয়ে রাখা হয়। পরে তাঁকে রাতভর ধর্ষণ করা হয়।
এলাকার ইউপির সদস্য জানান, ‘আসামি সম্পর্কে ভুক্তভোগী নারীর সৎ ভাশুর। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিন জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।’
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা বলেন, ভিকটিমকে লামা হাসপাতালে থেকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সেন্টারে পাঠানো হবে।
থানার ওসি শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।