নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এ পরীক্ষা তিন শিফটে আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার শিফট ও পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে।
ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী— প্রথম শিফটে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন রোল নম্বর-৪০০০১ থেকে ৪৮০৭১ পর্যন্ত। সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত তাদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় শিফটে রয়েছে—রোল নম্বর-৬০০০১ থেকে ৬৮০৭০ পর্যন্ত, তাঁদের পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এবং তৃতীয় শিফটে—রোল নম্বর- ৭০০০১ থেকে ৭৮০৭০ পর্যন্ত, তাদের পরীক্ষা চলবে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
গত ২৪ ডিসেম্বরে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রকাশ করা তালিকায় যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন ২৪ হাজার ২০৫ জন। এর আগে ৩০ নভেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়ে শেষ হয় এবং তা শেষ হয় ১৪ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে। প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা অংশ নিতে ৫০০ টাকা ফি জমা দিয়ে প্রাথমিক আবেদন করেন প্রায় ২৬ হাজার জন। সেখান থেকে ২৪ হাজার ২০৫ বাছাই করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বুয়েটে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য মোট আসনসংখ্যা রয়েছে- ১৩০৯টি। প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষা শেষে মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ৪ ফেব্রুয়ারি। মূল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি। মূল ভর্তি পরীক্ষায় ‘ক’ গ্রুপের জন্য ৪০০ নম্বরের এবং ‘খ’ গ্রুপের জন্য মোট ৮০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরে ভর্তির জন্য নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে ৮ মার্চ।
উল্লেখ্য, গ্রুপ ‘ক’- প্রকৌশল বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের (উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন) মূল ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচিতে হবে। গ্রুপ ‘খ’- প্রকৌশল বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের (উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন) মূল ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচিতে হবে।
তবে মুক্তহস্ত অঙ্কন এবং দৃষ্টিগত ও স্থানিক ধীশক্তির পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট সিলেবাস নেই, সেটি উন্মুক্ত সিলেবাসে হবে।