মুসাররাত আবির
বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নারী অপরাহ উইনফ্রে। তিনি ‘দি অপরাহ উইনফ্রে শো’র মাধ্যমে আমেরিকার টেলিভিশন প্রোগ্রামে ইতিহাস গড়ে তুলেছেন। অপরাহ উইনফ্রে শুধুই সফলতার প্রতীক নন, তিনি সাহস ও অন্তর্দৃষ্টির প্রতিচ্ছবি। তাঁর নেওয়া অসংখ্য সাক্ষাৎকার—দালাই লামা, নেলসন ম্যান্ডেলা থেকে শুরু করে সমাজ বদলে দেওয়া মানুষদের অভিজ্ঞতা কোটি মানুষের জীবনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজে লেগেছে। আমেরিকান জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বস অবলম্বনে অনুবাদ করেছেন মুসাররাত আবির।
চলুন, একনজরে দেখে নিই উইনফ্রের সেই সাতটি জীবনপাঠ, যা আজও আমাদের চলার পথের প্রেরণা হয়ে ওঠে:
নিজের সেরাটা দিন
ভাগ্য আসে যখন প্রস্তুতির সঙ্গে সুযোগের দেখা হয়। এ বিশ্বাসই উইনফ্রেকে গড়েছে। তাঁর মতে, প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্ত—একটি সম্ভাবনার বীজ। তুমি হয়তো জানো না, আগামীকাল কী হবে; কিন্তু আজ নিজের সেরাটা দিলে আগামীকালের দরজাও খুলে যাবে। সময় কখনো অপচয় করার জন্য নয়, এটি প্রতিদিন নিজেকে আরও প্রস্তুত করে তোলার জন্য।
নিজের শক্তির উৎস খুঁজে নাও, ‘তুমি কেবল তোমার শো নয়, তুমি অনেক বড় কিছু।’ অপরাহ অনেকবার শুনেছেন—শো ছাড়া তিনি কিছুই না। কিন্তু তিনি জানতেন তাঁর মূল্য কোথায়। তাঁর শক্তি আসে ভেতর থেকে। নিজেকে জানো, নিজের সৃষ্টিশীলতার জায়গাটা খুঁজে বের করো। একটি কাজ খুঁজে নাও, যেখানে তুমি আনন্দ পাও, যেখানে তুমি নিজের মতো করে নিজেকে প্রকাশ করতে পারো।
সব দিন ভালো যাবে না
‘না’ মানে শেষ নয়, ‘না’ মানে শুধুই—‘এখন নয়’। জীবন কখনো সরলরেখা নয়। সব দিন সমান ভালো যাবে না, সব প্রয়াসে সফলতা আসবে না।
কিন্তু প্রত্যাখ্যান মানেই থেমে যাওয়া নয়। সময়কে বুঝে, সুযোগের জন্য অপেক্ষা করাই কখনো কখনো সবচেয়ে সাহসী সিদ্ধান্ত।
নিজের ভেতরের কণ্ঠকে বিশ্বাস করো
‘তোমার অন্তর্দৃষ্টি হলো তোমার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য গাইড।’
অন্তর্দৃষ্টি নিয়ে আমরা অনেকেই উদাসীন। কিন্তু অপরাহ বলেন, এটাই আসলে তোমার ভেতরের কম্পাস। নিজেকে বোঝো, শুনতে শেখো, অনুভব করো—তোমার মন বলছে কী। সঠিক সিদ্ধান্তের মূল সেখানে, বাইরের চিৎকারে নয়—ভেতরের নীরব সাহসেই।
যা আছে, তাতেই কৃতজ্ঞ থাকো
‘যা নেই, তার জন্য কষ্ট না পেয়ে যা আছে, তার জন্য কৃতজ্ঞ হও।’ চাওয়ার কোনো শেষ নেই। কিন্তু তৃপ্তি আসে কৃতজ্ঞতা থেকে। যদি প্রতিদিনের ছোট প্রাপ্তিগুলোকে উপভোগ করতে পারো, তাহলেই জীবনে স্বস্তি আসবে। কৃতজ্ঞতা শুধুই ভদ্রতা নয়, এটা একটা জীবনদর্শন।
ভয়কে জয় করো
একজন রানি ব্যর্থতাকে ভয় পান না। ব্যর্থতা সফলতার আরেক ধাপ। ভয় সাফল্যের সবচেয়ে বড় শত্রু। আমরা যতটা না পারি, তার চেয়ে বেশি থেমে থাকি ভয় থেকে। অপরাহর উপদেশ—রানির মতো ভাবো। আত্মবিশ্বাসী হও, ব্যর্থতা থেকে শেখো। ভয় কাটিয়ে ওঠো, সফলতা তখন তোমার দিকে নিজেই এগিয়ে আসবে।
ভুল থেকে শেখো
ভুল করা দোষ নয়, কিন্তু ভুল থেকে না শেখাটা অপচয়। জীবনে ভুল হবেই—তা স্বাভাবিক। কিন্তু সেই ভুল থেকে শিক্ষা না নিতে পারা মানে নিজেকে অন্ধকারে রাখা। অপরাহ বলেছিলেন, ক্ষতের জায়গায় প্রলেপ নয়, সেখানে যেন জ্ঞান গজায়। প্রতিটি ভুল হোক একটি নতুন পাঠের জন্মস্থান।
অপরাহ উইনফ্রে আমাদের দেখিয়েছেন, জীবন মানে কেবল সফলতার গল্প নয়; এটা লড়াই, আত্ম-অন্বেষণ, ব্যর্থতা থেকে শেখা আর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে পথ খোঁজার গল্প। তাঁর জীবনের পাঠগুলো কেবল অনুপ্রেরণা নয়—এগুলো আমাদের প্রত্যেকের জন্য একেকটি নকশা, যার মাধ্যমে গড়ে তুলতে পারি নতুন একটি আমি।
বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নারী অপরাহ উইনফ্রে। তিনি ‘দি অপরাহ উইনফ্রে শো’র মাধ্যমে আমেরিকার টেলিভিশন প্রোগ্রামে ইতিহাস গড়ে তুলেছেন। অপরাহ উইনফ্রে শুধুই সফলতার প্রতীক নন, তিনি সাহস ও অন্তর্দৃষ্টির প্রতিচ্ছবি। তাঁর নেওয়া অসংখ্য সাক্ষাৎকার—দালাই লামা, নেলসন ম্যান্ডেলা থেকে শুরু করে সমাজ বদলে দেওয়া মানুষদের অভিজ্ঞতা কোটি মানুষের জীবনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজে লেগেছে। আমেরিকান জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বস অবলম্বনে অনুবাদ করেছেন মুসাররাত আবির।
চলুন, একনজরে দেখে নিই উইনফ্রের সেই সাতটি জীবনপাঠ, যা আজও আমাদের চলার পথের প্রেরণা হয়ে ওঠে:
নিজের সেরাটা দিন
ভাগ্য আসে যখন প্রস্তুতির সঙ্গে সুযোগের দেখা হয়। এ বিশ্বাসই উইনফ্রেকে গড়েছে। তাঁর মতে, প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্ত—একটি সম্ভাবনার বীজ। তুমি হয়তো জানো না, আগামীকাল কী হবে; কিন্তু আজ নিজের সেরাটা দিলে আগামীকালের দরজাও খুলে যাবে। সময় কখনো অপচয় করার জন্য নয়, এটি প্রতিদিন নিজেকে আরও প্রস্তুত করে তোলার জন্য।
নিজের শক্তির উৎস খুঁজে নাও, ‘তুমি কেবল তোমার শো নয়, তুমি অনেক বড় কিছু।’ অপরাহ অনেকবার শুনেছেন—শো ছাড়া তিনি কিছুই না। কিন্তু তিনি জানতেন তাঁর মূল্য কোথায়। তাঁর শক্তি আসে ভেতর থেকে। নিজেকে জানো, নিজের সৃষ্টিশীলতার জায়গাটা খুঁজে বের করো। একটি কাজ খুঁজে নাও, যেখানে তুমি আনন্দ পাও, যেখানে তুমি নিজের মতো করে নিজেকে প্রকাশ করতে পারো।
সব দিন ভালো যাবে না
‘না’ মানে শেষ নয়, ‘না’ মানে শুধুই—‘এখন নয়’। জীবন কখনো সরলরেখা নয়। সব দিন সমান ভালো যাবে না, সব প্রয়াসে সফলতা আসবে না।
কিন্তু প্রত্যাখ্যান মানেই থেমে যাওয়া নয়। সময়কে বুঝে, সুযোগের জন্য অপেক্ষা করাই কখনো কখনো সবচেয়ে সাহসী সিদ্ধান্ত।
নিজের ভেতরের কণ্ঠকে বিশ্বাস করো
‘তোমার অন্তর্দৃষ্টি হলো তোমার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য গাইড।’
অন্তর্দৃষ্টি নিয়ে আমরা অনেকেই উদাসীন। কিন্তু অপরাহ বলেন, এটাই আসলে তোমার ভেতরের কম্পাস। নিজেকে বোঝো, শুনতে শেখো, অনুভব করো—তোমার মন বলছে কী। সঠিক সিদ্ধান্তের মূল সেখানে, বাইরের চিৎকারে নয়—ভেতরের নীরব সাহসেই।
যা আছে, তাতেই কৃতজ্ঞ থাকো
‘যা নেই, তার জন্য কষ্ট না পেয়ে যা আছে, তার জন্য কৃতজ্ঞ হও।’ চাওয়ার কোনো শেষ নেই। কিন্তু তৃপ্তি আসে কৃতজ্ঞতা থেকে। যদি প্রতিদিনের ছোট প্রাপ্তিগুলোকে উপভোগ করতে পারো, তাহলেই জীবনে স্বস্তি আসবে। কৃতজ্ঞতা শুধুই ভদ্রতা নয়, এটা একটা জীবনদর্শন।
ভয়কে জয় করো
একজন রানি ব্যর্থতাকে ভয় পান না। ব্যর্থতা সফলতার আরেক ধাপ। ভয় সাফল্যের সবচেয়ে বড় শত্রু। আমরা যতটা না পারি, তার চেয়ে বেশি থেমে থাকি ভয় থেকে। অপরাহর উপদেশ—রানির মতো ভাবো। আত্মবিশ্বাসী হও, ব্যর্থতা থেকে শেখো। ভয় কাটিয়ে ওঠো, সফলতা তখন তোমার দিকে নিজেই এগিয়ে আসবে।
ভুল থেকে শেখো
ভুল করা দোষ নয়, কিন্তু ভুল থেকে না শেখাটা অপচয়। জীবনে ভুল হবেই—তা স্বাভাবিক। কিন্তু সেই ভুল থেকে শিক্ষা না নিতে পারা মানে নিজেকে অন্ধকারে রাখা। অপরাহ বলেছিলেন, ক্ষতের জায়গায় প্রলেপ নয়, সেখানে যেন জ্ঞান গজায়। প্রতিটি ভুল হোক একটি নতুন পাঠের জন্মস্থান।
অপরাহ উইনফ্রে আমাদের দেখিয়েছেন, জীবন মানে কেবল সফলতার গল্প নয়; এটা লড়াই, আত্ম-অন্বেষণ, ব্যর্থতা থেকে শেখা আর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে পথ খোঁজার গল্প। তাঁর জীবনের পাঠগুলো কেবল অনুপ্রেরণা নয়—এগুলো আমাদের প্রত্যেকের জন্য একেকটি নকশা, যার মাধ্যমে গড়ে তুলতে পারি নতুন একটি আমি।
যুক্তরাজ্যে অ্যাংলিয়া রাস্কিন ইউনিভার্সিটি মেরিট স্কলারশিপ ২০২৫-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। অর্থায়িত এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে এ বৃত্তির
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর অভিজাত গুলশান ক্লাবে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো ক্লাব জিলা স্কুল বিডি লিমিটেডের প্রথম মিলনমেলা ও ঈদ পুনর্মিলনী ২০২৫।
১৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আই ক্যাম্প–২০২৫ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের চক্ষু স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে এ ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেচীনের জিয়াংসু বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রেসিডেনশিয়াল স্কলারশিপ দিচ্ছে। ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রেসিডেনশিয়াল স্কলারশিপের জন্য আবেদনপ্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এ বৃত্তির আওতায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগে