নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ইউজিসির নামই বদলে দেওয়া হবে। ইউজিসি হবে উচ্চশিক্ষা কমিশন বা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন। শুধু টাকাপয়সা মঞ্জুরি নয়, উচ্চশিক্ষায় তারা অনেক দায়িত্ব পালন করবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়বে। এখন আইনিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর খবরদারির জন্য আইনি ক্ষমতা কম। উচ্চতর গবেষণার জন্য একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করবে।
আজ সোমবার পরিকল্পনা কমিশনে শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইরাব) নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইরাব) সভাপতি আকতারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুছা মল্লিক, দপ্তর সম্পাদক রুম্মান তূর্য, কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুল হাই তুহিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীরা সব পাঠ্যবই হাতে পাবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দিকে আমি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। পাঠ্যবই নিয়ে কাজ করা কর্মকর্তারা বলেছিলেন, সব বই নির্ধারিত সময়েই পাবে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে শেষ দিকে দেখলাম, পাঠ্যবই হাতে পৌঁছে দিতে এখনো অনেক কাজ বাকি।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘প্রথম দিকে আমরা আর্ট পেপার পাচ্ছিলাম না। কাগজের সংকটও ছিল। পরবর্তী সময়ে ছাত্র প্রতিনিধি, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও অন্যদের সহায়তায় আর্ট পেপারের সমস্যাটা সমাধান হয়েছে। কিছু আর্ট পেপার ঘাটতি আছে। (আর্ট পেপার নিয়ে) বিদেশ থেকে জাহাজ রওনা হয়ে গেছে। আশা করছি, জানুয়ারির শেষ দিকে জাহাজ এসে পৌঁছাবে।’
শিক্ষার বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে জনবলশূন্য থাকা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শূন্য পদগুলো পূরণ করার চেষ্টা করছি। সামনে পরীক্ষা থাকায় প্রথমে বোর্ডগুলোয় নিয়োগ হচ্ছে। আমরা সৎ, দক্ষ এবং মেধাবীদের পদায়ন করার চেষ্টা করছি। কোনো তদবির নয়, প্রোফাইল দেখেই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।’
এ সময় শিক্ষা সংস্কারে ইরাবের সহযোগিতা কামনা করেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।