‘খুব ছোটবেলা থেকে আমি আঁকাআঁকি করতাম। মনের আনন্দে যা ভালো লাগত, তা-ই আঁকতাম। ছবি আঁকতে আঁকতে কখন যে এটা ঝোঁকে পরিণত হয়েছে, বুঝতে পারিনি।’
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোহাইমিন সুলতানা মিভা ছবি আঁকেন মনের আনন্দে। এসব আঁকিবুঁকি করতে করতে পেয়েছেন অনেক পুরস্কার।
২০১৭ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ’ শীর্ষক পোস্টার প্রদর্শনীতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন মিভা।
২০১৯ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে বাংলাদেশ-তুরস্ক ফ্রেন্ডশিপ ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত চারুকলা অনুষদে জয়নুল আর্ট গ্যালারি, দৃক গ্যালারি থেকে শুরু করে তাঁর আঁকা ছবি তুরস্ক, জাপান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে প্রদর্শিত হয়েছে। ২০১৯ সালে ভারতের কেরালায় আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রায় ৪০ হাজার ছবির মধ্য থেকে মিভার আঁকা ছবি প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত হয়। তবে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো, ২০২০ সালে টোকিও অলিম্পিকের পর্দায় যে ৩০ শিল্পীর ছবি দেখানো হয়, সেখানে মিভারও একটি ছবি ছিল।
শুধু ছবি আঁকাই নয়, হাতের লেখা থেকে শুরু করে নাচ, গান, ফটোগ্রাফি, উপস্থাপনা—সবকিছুতেই মিভা এগিয়ে। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের নানা অনুষ্ঠানে গান গায় সে। মজার ব্যাপার হলো, এসবের জন্য তাঁর কখনোই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। সহশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকার পরও মিভা পড়াশোনাটা ঠিক রেখেছেন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলেন।
মিভার পরামর্শ হলো, পড়াশোনার বাইরে বিভিন্ন কাজের জন্য আলাদা সময় বের করে নিতে হবে। প্রতিদিন না হোক, সপ্তাহে দুই বা তিন দিন ১০ মিনিট থেকে শুরু করে ১ ঘণ্টা নিজের পছন্দের কাজ করতে হবে।