এ আর রহমান ও সায়রা বানু ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটিয়েছেন। বিষয়টি হুট করে প্রকাশ্যে এলেও বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁরা আলাদা হওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। দুজনের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে ভক্তদের অনুরোধ করেছেন এ আর রহমান।
এই সুরস্রষ্টা এবং সায়রার বিয়ে হয়েছিল পারিবারিকভাবে। এ আর রহমানের মা তাঁদের বিয়েতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
ভারতীয় সাংবাদিক সিমি গারেওয়ালের সঙ্গে এক পুরোনো সাক্ষাৎকারে এ আর রহমান বলেছিলেন, তিনি সঙ্গীর খোঁজ করার জন্য সময় পাননি, তাই মাকে পাত্রী খুঁজে নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এ আর রহমান উল্লেখ করেছিলেন, তিনি এমন কাউকে চেয়েছিলেন, যিনি তাঁর সংগীতজীবনে সমর্থন দেবেন, শিক্ষিত, সুন্দর ও বিনয়ী হবেন।
স্ত্রী সায়রা বানু সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে এ আর রহমান বলেছিলেন, তাঁর ব্যক্তিত্বের দুটি দিক আছে—সায়রা যখন শান্ত থাকেন, তখন তিনি পুরোপুরি শান্ত–স্থির, কিন্তু রেগে গেলে শুধু রাগই করেন।
বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনের শুরুতে সায়রা প্রায়ই হতাশ হয়ে পড়তেন। এর কারণ হলো, শপিংয়ে যাওয়ার মতো সাধারণ কাজও তিনি করতে পারতেন না! এর কারণ ছিল সেলিব্রিটি স্বামী।
এ আর রহমান অবশ্য এ ব্যাপারে তাঁকে আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁর সেলিব্রিটি স্ট্যাটাসের কারণে তাঁদের জীবন স্বাভাবিকের থেকে ভিন্ন হবে। সায়রা বানু কিন্তু বিয়ের আগে সেটি মেনেও নিয়েছিলেন। এটি ছিল তাঁদের দুজনের মধ্যে একান্ত একটা চুক্তি।
রহমানিয়াক ডটকমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ আর রহমান বলেছিলেন, নতুন একজনের পক্ষে পরিবারের সদস্যের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তাঁর বিয়ের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এ আর রহমান উল্লেখ করেন, তাঁর ছিল যৌথ পরিবার। এখানে অনেক কিছু মানিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। তবে, তাঁদের প্রথম সন্তান জন্মের পর সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়।