বলিউড অভিনেতা সালমান খানের বাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার অনুজ থাপন আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আত্মহত্যার এ খবর গতকাল চমকে দিয়েছিল সবাইকে। কিন্তু প্রয়াত অনুজ থাপনের ভাইয়ের দাবি আত্মহত্যা নয়, পুলিশ হেফাজতে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
অনুজ থাপনের ভাই পাঞ্জাবের আবোহারের সুখচেন গ্রামের বাসিন্দা অভিষেক জানিয়েছেন, তার ভাই ট্রাক চালক ছিলেন, তিনি আত্মহত্যা করার মানুষই নন।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে অভিষেক বলেন, ‘অনুজকে পুলিশ ৬-৭ দিন আগে সাঙ্গরুর থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। আজ আমাদের কাছে ফোন আসে অনুজ আত্মহত্যা করেছে। ও ট্রাকের হেলপার হিসেবে কাজ করত। ও আত্মহত্যা করার মতো মানুষই ছিল না। পুলিশের গুলিতে খুন হয়েছে সে। আমরা ন্যায়বিচার চাই।’
অনুজ থাপান (৩২) নামে ওই যুবককে গত ২৬ এপ্রিল পাঞ্জাব থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, আজ বুধবার বেলা ১১টায় পুলিশ লকআপের সঙ্গে সংযুক্ত একটি টয়লেটে গিয়ে আত্মহত্যা করেন অনুজ। অনুজ চার-পাঁচজন পুলিশের পাহারায় লকআপে আরও ১০ জন বন্দীর সঙ্গে ছিলেন।
মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং এই ঘনটার তদন্ত করবে মহারাষ্ট্র সিআইডি।
তিনি ও অন্য অভিযুক্ত সোনু সুভাষ চন্দর গত ১৪ এপ্রিল সালমান খানের মুম্বাইয়ের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন বলে পুলিশের অভিযোগ।
গত ১৪ এপ্রিল মুম্বাইয়ের বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে সালমান খানের বাড়িতে মোটরবাইকে চড়ে এসে চার রাউন্ড গুলি চালায় দুই দুর্বৃত্ত। যদিও গোলাগুলিতে কেউ হতাহত হয়নি।
এরপর জেলবন্দী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণই ঘটনার দায় স্বীকার করেন। এরপর গত ১৬ এপ্রিল গুজরাটের কচ্ছ জেলা থেকে বিহারের বাসিন্দা ভিকি গুপ্তা (২৪) ও সাগর পাল (২১) নামে দুই শুটারকে গ্রেপ্তার করেছিল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পরে গুজরাটের তাপি নদী থেকে দুটি পিস্তল, ম্যাগাজিন এবং গুলি উদ্ধার করা হয়।