মাদককাণ্ডে জামিন পেয়েছেন আরিয়ান খান। এই মামলার অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে গ্রেপ্তার করেছে পুনে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া কিরণকে আট দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। প্রশ্ন উঠেছে কে এই কিরণ গোসাভি?
গত ২ অক্টোবর একটি পার্টি থেকে শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানকে আটক করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এনসিবি-র ওই তল্লাশি অভিযানের অন্যতম সাক্ষী ছিলেন কিরণ গোসাভি। এনসিবি হেফাজতে থাকাকালীন আরিয়ান খানের সঙ্গে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিলেন তিনি। এরপর গোসাভির সঙ্গে আরিয়ানের একটা ভিডিও ভাইরাল হয়।
আরিয়ানের সঙ্গে সেলফি ভাইরাল হওয়ার পরই এই গোসাভিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এমনকি তাকে এনসিবি কর্মকর্তা বলে অনেকে দাবি করে। সে সময় এনসিবি জানায়, গোসাভি তাঁদের কেউ না। গোসাভি নিয়ে ইতিমধ্যেই জলঘোলা কম হয়নি। গোসাভি পলাতক হয়। তবে হঠাৎ করেই জানান, তিনি আত্মসমর্পণ করতে চান। যদিও পরে গোসাভির সেই দাবি অস্বীকার করে পুলিশ।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ ও ৪২০ ধারা এবং তথ্য-প্রযুক্তি আইনে কিরণ গোসাভির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। কিরণ গোসাভির বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক জালিয়াতির অভিযোগ। বিদেশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ভারতের বিভিন্ন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
কয়েকদিন আগে গোসাভি ফের আলোচনায় আসেন। গোসাভির বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেছেন তার দেহরক্ষী হিসাবে পরিচিত প্রভাকর সইল। তিনি অভিযোগ করেন, ফোনে ২৫ কোটি টাকার ঘুষ নিয়ে গোসাভিকে কথা বলতে শোনেন। স্যাম ডিসুজা নমে একজনের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। শেষে ১৮ কোটিতে তাদের মিমাংসা হয়। সেই ১৮ কোটির মধ্যে আট কোটি টাকা দেওয়ার কথা হয় এনসিবি কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে।