বিনোদন ডেস্ক
মায়ের মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েন ইরফান। মায়ের মৃত্যুর তিন দিন পর অসুস্থ হয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে। আর ফিরে আসেননি, মহামারির লকডাউনের কারণে মা’কে শেষবারে মতো চোখের দেখা দেখতে না পারার অভিমানে তিনি চলে যান না ফেরার দেশে।
আজ রোববার (০৭ জানুয়ারি) ইরফান খানের জন্মদিন। ১৯৬৭ সালের ৭ জানুয়ারি জয়পুরের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি।
১৯৮৪ সালে যখন তিনি মাস্টার্সের ছাত্র, তখনই ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা, দিল্লিতে শিক্ষাবৃত্তি পান। সেখানে পড়াশোনা শেষে মুম্বাইয়ে এসে অভিনয় জীবন শুরু করেন ইরফান।
শুরুতেই অনেকগুলো টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তিনি। এর মধ্যে ‘চাণক্য’, ‘ভারত এক খোঁজ’, ‘সারা জাহান হামারা’, ‘বনেগি আপনি বাত’, ‘চন্দ্রকান্ত’, ‘শ্রীকান্ত’ ও ‘স্পর্শ’ অন্যতম।
ইরফান খানের বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে ১৯৮৮ সালে। ১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তাঁর প্রথম সিনেমা মীরা নেয়ার পরিচালিত ‘সালাম বোম্বে’ অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনয়ন পায়। ১৯৯০ সালের আর্ট ফিল্ম ‘এক ডক্টর কি মৌত’-এ তাঁর অভিনয় দারুণ প্রশংসিত হয়। মূলত শুরু থেকেই অভিনয় জগতে প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন ইরফান।
বলিউডে ‘হাসিল’ (২০০৩) ও ‘মকবুল’ (২০০৪) ইরফানের দর্শকপ্রিয়তা বাড়িয়ে দেয়। ‘হাসিল’ সিনেমায় অভিনয় করে সেরা খলনায়ক হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জয় করেন ইরফান। ‘লাইফ ইন অ্যা মেট্রো’ (২০০৭) সিনেমার জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার সেরা পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার পান। ফিল্মফেয়ারে ইরফান ‘পান সিং তোমার’ (২০১২) সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা (সমালোচক) এবং ‘হিন্দি মিডিয়াম’ (২০১৭) সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার জয় করেন।
প্রধান চরিত্রে ইরফান অভিনীত বলিউডের প্রথম বাণিজ্যিক সিনেমা ‘রগ’ (২০০৫)। এ ছাড়া তাঁর অভিনীত ‘দ্য লাঞ্চবক্স’ (২০১৩), ‘গুন্ডে’ (২০১৪), ‘পিকু’ (২০১৫’ ও ‘তালওয়ার’ (২০১৫) দারুণ সফলতা পায়।
২০১৮ সালে ইরফান খানের শরীরে নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমার ধরা পড়ে। লন্ডনে প্রায় এক বছর চিকিৎসা নিয়ে ভারত ফেরেন তিনি। এরপর তিনি নিজের সর্বশেষ সিনেমা ‘আংরেজি মিডিয়াম’-এর অসমাপ্ত কাজ শেষ করেন।