সবার প্রার্থনাকে মিথ্যে করে চলেই গেলেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। তিনি দ্রুত সেরে উঠবেন বলে প্রত্যাশা ছিল সবার। কিন্তু আশঙ্কাই সত্যি হলো। আজ রোববার ভারতের মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ৯২ বছর বয়সী এই গায়িকার।
দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, লতা কয়েক সপ্তাহ ধরে কোভিড-১৯ ও নিউমোনিয়া'য় ভুগছিলেন। হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এন সান্তানাম এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কয়েক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি সামান্য সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। তবে গতকাল শনিবার হঠাৎ করেই তাঁর অবস্থার অবনতি হয়।
গতকাল শনিবার লতার শারীরিক অবস্থা ফের জটিল আকার নিয়েছিল। আইসিইউতে ছিলেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে গতকাল বলা হয়েছিল, লতা মঙ্গেশকরের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফের তাঁকে রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে। অথচ গত সপ্তাহেই ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়েছিল লতাকে। স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতি হয়েছিল তাঁর।
লতা মঙ্গেশকরের চিরবিদায়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতজুড়ে। দেশটিতে দুই দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
এক টুইট বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘দুঃখ প্রকাশ করার ভাষা আমার নেই। দয়ালু ও যত্নশীল লতা দিদি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি আমাদের দেশে একটি শূন্যতা রেখে গেছেন, যা পূরণ করা সম্ভব নয়। ভবিষ্যত প্রজন্ম তাকে ভারতীয় সংস্কৃতির একজন অকুতোভয় হিসেবে মনে রাখবে। সুরেলা কণ্ঠ দিয়ে মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করার এক অতুলনীয় ক্ষমতা ছিল ওনার।’
গত জানুয়ারির শুরুতে করোনা পজিটিভ আসে লতার। এরপর মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ৯ জানুয়ারি থেকে সেখানেই ছিলেন তিনি। মাঝে তাঁর শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতির আভাস পাওয়া গিয়েছিল।
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরকে নিয়ে শুধু অগণিত ভক্তকুলই নয়, উদ্বেগে ছিলেন চিকিৎসকেরাও। করোনার পাশাপাশি নিউমোনিয়ায়ও আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯২ বছর বয়সী এই সুরসম্রাজ্ঞী।
লতা মঙ্গেশকর সম্পর্কিত আরও পড়ুন: