বলিউড অভিনেতা ইরফান খান নেই চার বছর হয়ে গেল। ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল মাত্র ৫৩ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর অকালমৃত্যুতে শুধু তাঁর পরিবার নয়, সমগ্র চলচ্চিত্র বিশ্ব ডুবে গিয়েছিল এক গভীর শোকে। অসংখ্য অনুরাগীর কাছে তিনি এখনো জীবন্ত তাঁর কাজের মধ্য দিয়ে।
সেলুলয়েডের পর্দায় অসামান্য খ্যাতি পাওয়া এই তারকা ছোটবেলায় হতে চেয়েছিলেন ক্রিকেটার। ক্রিকেট বেশ ভালো খেলতেনও তিনি। কিন্তু অল্প কিছু অর্থের জন্য ক্রিকেট ক্যারিয়ার হাতছাড়া হয়ে যায় ইরফানের। সেই ঘটনা তিনি সামনে এনেছিলেন ২০১৭ সালে চ্যাট শো ‘সন অব আবিশ’ এ।
উপস্থাপক ও কমেডিয়ান আবিশ ম্যাথিউকে ইরফান জানিয়েছিলেন, তিনি একজন অলরাউন্ডার ছিলেন। কিন্তু বোলিংয়ের চেয়ে ব্যাটিং পছন্দ করতেন। তাঁর কথায়, ‘আমার অধিনায়ক আমার বোলিং পছন্দ করেছেন, তাই তিনি আমাকে একজন বোলার বানিয়েছেন। তিনি আমাকে বলতেন ‘‘সুন্দর করে ছুড়ে দাও’’ আমি শুধু বল ছুড়ে মারতাম আর উইকেট পেতাম।’
ক্রিকেট প্রতিভার জন্য কর্নেল সিকে নায়ডু ট্রফিতে খেলার সুযোগ পান ইরফান খান। কিন্তু তখন তাঁর পরিবারের পরিস্থিতি এমন ছিল যে খেলতে হলেও তাঁকে মিথ্যে কথা বলে বাড়ি থেকে বের হতে হতো। ফিরে এসে কিছু একটা অজুহাত দিয়ে দিতেন। ভীষণ আক্ষেপের সুরেই জানিয়েছিলেন, ‘আমি যখন সুযোগ পাই তখন আমাদের জয়পুর থেকে আজমির যেতে হতো। সে জন্য ২০০-২৫০ রুপি লাগত। কিন্তু আমি সেই টাকাটা জোগাড় করতে পারিনি। সেদিনই বুঝে গিয়েছিলাম, এটা আমার জন্য নয়।’
কপিল দেব, শচীন টেন্ডুলকারের ভক্ত ইরফান খানের কাছে ডেভিড বেকহাম ছিলেন সব থেকে সুদর্শন স্পোর্টসম্যান। আর ইমরান খান ও জহির আব্বাসের মতো দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটারও ছিলেন তাঁর প্রিয়। তবে ‘ক্যাপ্টেন’ ধোনিকে নিয়ে বড় গর্ববোধ করতেন ইরফান। বলেছিলেন, ‘ও দুর্দান্ত অধিনায়ক, নিজের পারদর্শিতার জন্যই ভারতের হাতে বিশ্বকাপ তুলে দিতে পেরেছেন।’