বলিউডের মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলর সালমান খান। রিল কিংবা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই থাকেন আলোচনায়। সংগীতা বিজলানি থেকে ঐশ্বরিয়া রাই, ক্যাটরিনা কাইফ কিংবা ভিনদেশি ইউলিয়াসহ ডজনখানেক সুন্দরীর প্রেম মজেছেন তিনি। বয়স ৫৮ পেরোলেও বসেননি বিয়ের পিঁড়িতে। বি–টাউন থেকে শুরু করে ভক্তদের মাঝে ভাইজানের বিয়ে নিয়ে জল্পনার শেষে নেই। সম্প্রতি সালমানকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আবারও আলোড়ন তৈরি হয়েছে ভক্ত মহলে।
একাধিক মামলা, মাফিয়াদের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ, বারবার হত্যার হুমকি—সব মিলিয়ে ভাইজানের জীবন অনেকখানি অনিশ্চিত। হতে পারে এই অনিশ্চয়তার কারণেই জীবনের সঙ্গে কাউকে জড়াতে চান না বলিউডের এই সুপারস্টার। একটি রিয়্যালিটি শোতে অবশ্য তেমন ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন তিনি।
উপস্থাপক রজত শর্মা বুঝতে পারেন নিছক মজা করেই উত্তর দিয়েছেন সালমান। এবার বিয়ে না করার সত্যিকার কারণটি জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেন উপস্থাপক। তখন খান সাহেব বিয়ে না করার কারণ খোলাসা করেন। কারণ হিসেবে যোধপুর ও মুম্বাইয়ের ঘটনার সূত্র টানেন এই অভিনেতা।
সালমান খান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দুটো মামলা চলমান। হয়তো জিতে যাব। যদি জিততে না পারি; আমার সাজা হয়ে যায় তখন কী হবে? এর আগে যদি বিয়ে করে ফেলি এটা কি ফেয়ার হবে? স্বামী জেলের ভেতরে থাকবে, সন্তান বাবাকে জেলের ভেতরে দেখবে?’ পরবর্তীকালে ভাইজান এ–ও বলেন, ‘যদি সব ঠিক হয়ে যায়, তাহলে ভেবে দেখব।’
১৯৯৮ সালের অক্টোবরে ভারতের রাজস্থানের যোধপুরের ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিং চলছিল। শুটিংয়ের ফাঁকে যোধপুরের কাছে কঙ্কণী গ্রামে ঘুরতে যান সালমান খানসহ কয়েকজন অভিনেতা–অভিনেত্রী। সেখানে তাঁর এবং অন্য অভিনেতাদের বিরুদ্ধে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠে। ১৯৯৯ সালে সালমানের বিরুদ্ধে মামলা করে স্থানীয় বিষ্ণই সম্প্রদায়ের কয়েকজন। তবে সিনেমাটির অভিনেতা মহেশ ঠাকুর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শুধু সন্দেহের বশে পুলিশ তাঁদের হয়রানি করেছিল। পুলিশ সালমান, সাইফ আলী খান, সোনালি বেন্দ্রে, নিলম ও টাবুকে থানায় নিয়ে যায়। সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হলেও সালমানকে সারা রাত হাজতে আটকে রাখে। পরদিন আরবাজ ও সোহেল খান গিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে আনেন।
তবে বলিউডের এই সুপারস্টারের ওপর ক্ষোভ থেকে যায় বিষ্ণই সম্প্রদায়ের। ছক কষে হত্যার। সম্প্রতি সালমান খানকে হত্যার হুমকি দেন পাঞ্জাবের গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণই। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার জন্য সালমান যদি বিষ্ণই সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা না চান, তাহলে তাঁকে চরম শাস্তি পেতে হবে বলে হুমকি দেন তিনি। গত এপ্রিলে সালমানের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলির ঘটনা ঘটে। এতে গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে একজন কারাগারে আত্মহত্যা করেছেন।
এর আগে ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকার ফুটপাতে গাড়ি উঠিয়ে দেন সালমান খান। গাড়ি চাপা পড়ে একজন নিহত ও চারজন আহত হন। ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম। বরাবরই সালমান খান দাবি করে আসছেন, গাড়িটি তাঁর ড্রাইভার চালাচ্ছিলেন। অবশ্য শেষ পর্যন্ত অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বলিউডের এই সুপারস্টার।
আরও পড়ুন: