বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ছবি শেষ, আলো জ্বলল কানের ডবসি থিয়েটারে। প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টা ব্যাপ্তির ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবির শুরু থেকে শেষ অবধি হল ভর্তি দর্শক দেখেছেন পিনপতন নীরবতায়। ছবি শেষে শান্ত থিয়েটার মুহূর্তেই করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠল। আসন ছেড়ে দাঁড়িয়ে গেলেন সারি সারি দর্শক। আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্না ধরে রাখতে পারলেন না ছবির নায়িকা আজমেরি হক বাঁধন। তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন ছবির পরিচালক সাদসহ অন্যরা।
সামনের সারিতে বসে থাকা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ নির্মাতা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদকে যেমন প্রশংসা করছিলেন উপস্থিত দর্শক, তেমনি বাঁধনের জন্যও মিনিট পাঁচেক চলেছে করতালির ঢেউ। সেই প্রশংসা স্রোত আর ঢেউয়ের ভিডিও কান থেকে পাঠিয়েছে ছবি সংশ্লিষ্ট একজন। জানালেন, এদিন ছবিটি দেখে প্রশংসা করেছেন বিভিন্ন দেশের সংবাদকর্মী এবং মার্শে দু ফিল্মে অংশগ্রহণকারী ফিল্ম প্রফেশনালরা।
ছবির নায়িকা বাঁধন জানালেন, ‘আমাদের ধারণা ছিল ভিনদেশে বড়জোর শ’খানেক মানুষ আসবে। কিন্তু এক হাজার আসন প্রায় পুরোই ভর্তি ছিল। ছবিটি দেখার জন্য যেন জনসমুদ্র। এই সম্মান শুধু আমাদের টিম নয়, বাংলাদেশেরও।’ তিনি আরও জানান, এই প্রথম ছবিটি দেখেছেন। যে ছবিটি নিয়ে তাঁর এত প্রত্যাশা। সেই ছবিটি তিনি এর আগে দেখেননি। মানুষের ভালোবাসা আর চরিত্র দেখে আবেগে বারবার জড়িয়ে যাচ্ছিল তাঁর কণ্ঠ।
বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৩টা ১৫ মিনিট) ছবিটির প্রদর্শনী শুরু হয়। প্রথম প্রিমিয়ার হয় কানের পালে দো ফেস্টিভ্যাল ভবনে। এতে দর্শক সারিতে ছিলেন ছবিটির পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ, অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, সিঙ্গাপুরের প্রযোজক জেরেমি চুয়া, চিত্রগ্রাহক তুহিন তমিজুল, প্রোডাকশন ডিজাইনার আলী আফজাল উজ্জ্বল, শব্দ প্রকৌশলী শৈব তালুকদার, কালারিস্ট চিন্ময় রয় এবং নির্বাহী প্রযোজক এহসানুল হক বাবু।