টানটান উত্তেজনার থ্রিলার হোক কিংবা রোমান্টিক প্রেমের গল্প, কিছুটা হাসির খোরাক না থাকলে ছবিটা যেন ঠিক জমে না। আর নিপুণ দক্ষতার সঙ্গে যাঁরা পর্দায় দর্শকের হাসির রসদ জুগিয়ে চলেন, তাঁরাই কমেডিয়ান, মানুষের মন ভালো করার কারিগর।
টালিউডে ইদানীং এমন কমেডিয়ান অনেকেই রয়েছেন। তবে নব্বইয়ের দশকে পশ্চিমবঙ্গের ছবি যে বাঙালি কমেডিয়ানকে ছাড়া অচল ছিল, তিনি শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। চেহারাটা দুই বাংলায় ব্যাপক পরিচিত। তিনি প্রসেনজিতদের মতো সুপারস্টার নন, তবে মানুষকে হাসানোর দক্ষতা তাঁকে অন্য অভিনেতাদের থেকে আলাদা করে রাখে। প্রায় তিন দশক ধরে পর্দায় তাঁর উপস্থিতি দর্শককে আনন্দ দিয়েছে।
সময় বদলেছে, হাসির চরিত্র থেকে বের হয়ে সিরিয়াস চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন কেড়েছেন শুভাশিস। গেল কয়েক বছরে ‘জড়োয়ার ঝুমকো’ আর ‘রাখিবন্ধন’ টিভি সিরিয়ালগুলো তাঁর সিরিয়াস চরিত্রে অভিনয়ের উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। তবে ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মহালয়া’ ছবিতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র চরিত্রে তিনি নতুনরূপে ধরা দিয়েছেন।
পূর্ণেন্দু পত্রীর ‘ছোটো বকুলপুরের যাত্রী’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন শুভাশিস। সেটা ১৯৮৭ সালের কথা। এরপর বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, রাজা সেন, উৎপলেন্দু চক্রবর্তী হয়ে অপর্ণা সেন, সন্দীপ রায়, অঞ্জন দত্ত, অরিন্দম শীল, কমলেশ্বর আর সুমন মুখোপাধ্যায়। কিন্তু ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন স্বপন সাহার সঙ্গে। ৫৫টা ছবি করেছেন তাঁর পরিচালনায়। আর এর বেশির ভাগ ছবিতেই কমেডি করে প্রসেনজিতকে সঙ্গ দিয়েছেন।
আরও এক নতুন ছবিতে অভিনয় করছেন শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। নাম ‘শহরের উপকথা’। পরিচালক বাপ্পার এটাই প্রথম ছবি। বাদল সরকারের নাটক ‘বাকি ইতিহাস’ অবলম্বনে চিত্রনাট্য লিখেছেন বাংলাদেশের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনাট্যকার আশরাফ শিশির।
ছবিতে বিভিন্নভাবে চলচ্চিত্র, নাটক, মঞ্চের মানুষ ঘুরেফিরে আসবে। এমনই এক চরিত্রে অভিনয় করেছেন শুভাশিস।