অভিনেত্রী পল্লবী দে ও বিদিশা দে মজুমদারের পর এবার ওপার বাংলায় আরেক মডেল-অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হলো। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে পাটুলির বাড়ি থেকে মঞ্জুষার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মঞ্জুষার মা জানান, বিদিশার মৃত্যুর পর থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন মঞ্জুষা। তাঁরা দুজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। এর জেরেই আত্মহত্যা করতে পারেন মঞ্জুষা। একসঙ্গে অনেক কাজ করেছেন তাঁরা। মঞ্জুষার মা আরও জানিয়েছেন, বিদিশার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই তাঁর মেয়ে বলেছিলেন যে, ‘আমিও বিদিশার মতো করব।’
পরিবার আরও জানায়, স্বামীর সঙ্গেও কিছুটা মনোমালিন্য হয় মঞ্জুষার। তখন মঞ্জুষা আত্মহত্যার কথা বলেছিলেন। তবে মঞ্জুষার মায়ের দাবি, জামাইয়ের সঙ্গে কোনো অশান্তি ছিল না মেয়ের।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মে কলকাতার গড়ফার আবাসন থেকে অভিনেত্রী পল্লবী দের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এর জেরে পল্লবীর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার দমদমের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় মডেল-অভিনেত্রী বিদিশার মরদেহ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে খুনের কোনো প্রমাণ মেলেনি। যদিও পরিবারের দাবি, বিদিশা আত্মহত্যা করতে পারেন না।