বিনোদন ডেস্ক
প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের নাতি টালিউড অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তবে ঋত্বিক ঘটকের নাতি হয়ে ইন্ডাস্ট্রি থেকে বাড়তি কোনো সুবিধা পাওয়ার আশা করেননি পরমব্রত। নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়েই তিনি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন। বড়দিনের পরদিন অর্থাৎ গতকাল ২৬ ডিসেম্বর এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সবাইকে চমকে দেন পরমব্রত, কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে এদিন দুটি ছবি পোস্ট করেন অভিনেতা। ছবিতে তাঁর সঙ্গে এদিন দেখা গেছে ঋত্বিক ঘটকের ছেলে ঋতবান ঘটককে। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে যিনি সেখানে মানসিক রোগের হাসপাতালে চিকিৎসায় ভর্তি আছেন।
ঋত্বিক ঘটকের ছেলে ঋতবান ঘটক পরমব্রতর মামা। দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালের চার দেয়ালে বন্দী আছেন তিনি। একাধিক সমস্যার কারণে চিকিৎসাধীন ঋতবান ঘটক। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের পরিবার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁর চিকিৎসার যাবতীয় দায়ভার বহন করে আসছে।
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘উনি আমার মামা ঋতবান ঘটক। কিংবদন্তি ফিল্মমেকার ঋত্বিক ঘটক, যাঁর প্রতিভা আজও বিশ্ববাসীকে সমাদৃত করে রেখেছে, তাঁরই পুত্রসন্তান ঋতবান। উনি প্রায় ১০ বছর ধরে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমার পরিবার ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে মামার চিকিৎসার যাবতীয় খেয়াল রাখি। আর সেটা খুব ভালো করে। প্রতিবছর দুর্গাপূজা, বড়দিন, আর নিউ ইয়ারে মামার সঙ্গে দেখা করতে আসি।’
উল্লেখ্য, পরমব্রতর মা, প্রয়াত চলচ্চিত্র সমালোচক সুনেত্রা ঘটক ঋত্বিক ঘটকের তৃতীয় ভাই আশীষ ঘটকের কন্যা।
প্রসঙ্গত, ২৭ নভেম্বর সমাজকর্মী পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন পরমব্রত। পিয়ার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন থাকলেও সেই বিষয়ে সব সময় এড়িয়ে গেছেন তিনি। এমনকি বিয়ের আগমুহূর্তেও এ খবর নিশ্চিত করেননি। বিয়ের পর থেকেই তাঁরা রয়েছেন চর্চায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হয়েছে বিতর্ক। সেই সব বিতর্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিদেশে মধুচন্দ্রিমা সেরেছেন পরমপিয়া। এরপর ২৪ ডিসেম্বর হয় তাঁদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা।