অনলাইন ডেস্ক
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি। কাজের চেয়ে বেশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে থাকেন আলোচনার কেন্দ্রে। কখনো প্রেম, বিয়ে আবার কখনো মাদককাণ্ডের মতো বিতর্কিত কাজে পড়েছেন সমালোচনার মুখে। সম্প্রতি মামলা ও প্রেম নিয়ে আবারও শিরোনামে উঠে এসেছেন এই নায়িকা।
গত সোমবার মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে ঢাকার সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলায় জামিন পান পরীমণি। আদালতের জামিন আদেশের পর পরিমণির জামিননামা লেখা হয়। সেই জামিননামায় স্বাক্ষর করা দুজন জামিনদার হলেন অভিনেত্রীর আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত ও তরুণ সংগীতশিল্পী শেখ সাদী। আদালতে শুরু থেকেই পরীর পাশে ছিলেন সাদী। এতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর রটে—পরিমণির সঙ্গে প্রেম করছেন এই তরুণ গায়ক।
সবকিছু মিলিয়ে বলাই চলে বেশ কঠিন সময় পার করছেন পরী। আজ বৃহস্পতিবার নায়িকার ফেসবুক স্ট্যাটাস সেই ইঙ্গিতই দেয়। স্ট্যাটাসে পরীমণি লিখেছেন, আজ কোনো এক কারণে নিজেকে নিজের মতো করে অনেকগুলো প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করল আমার। নিজের সঙ্গে কথোপকথন হলো খুব। নিজেকে আক্রমণাত্মক প্রশ্ন করলাম সবগুলোই।
নিজেকে করা প্রশ্নগুলো তুলে পরী লেখেন—১। পরী, আপনি কর্মজীবনে কী এমন কাজ করেছেন বলে মনে করেন, যার জন্য সাধারণ জনগণের আপনাকে নিয়ে এত মাতামাতি? পাশাপাশি গণমাধ্যমে আপনাকে নিয়ে এত সম্প্রচার কেন হয় বলে মনে করেন?
২। আপনার কাজের থেকে লোকে আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে কেন পছন্দ করে?
৩। আপনার আগের জেনারেশনের থেকেও যদি আরও একটু আগে চলে যাই, যেমন—শাবানা, ববিতা, কবরী, রোজিনা’দের আমলে তাঁরা তাঁদের কাজ নিয়ে যতটা ফোকাসে থাকতেন, ততটা কি তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ফোকাসে থাকতেন?
পরী যুক্ত করেন, নিজেকে থামিয়ে দিলাম এ রকম হাজারো প্রশ্নের থেকে। কারণ, জীবনে কখনো কখনো নিজের কর্ম অবস্থানের থেকে খুব বেশি জরুরি হয়ে পড়ে ওই জীবনটা। প্রত্যেকটা জীবনের অধিকার আছে সুন্দর করে বেঁচে থাকার। আমার প্রথম অনুরোধ, প্লিজ এবার একটু ছেড়ে দেন আমাকে। আমার কাজের বাইরে আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আর টানাটানি কইরেন না আল্লার ওয়াস্তে।
নায়িকা বলেন, বিশ্বাস করেন, এখানে আমার জীবনটাই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এখন। আমার সাকসেসফুল কেরিয়ারের থেকেও জরুরি আমার সুস্থ জীবনযাপনের। কারণ আমার বাচ্চাদের আমি একটা সুন্দর সুস্থ জীবন দিতে চাই। আমি আমার বাচ্চাদের মা/একমাত্র অভিভাবক হয়ে আমি তার সর্বোচ্চটা দিতে চাই। যেমন করে হয়তো সব মায়েরাই চায়!
গত তিন/চারটা মাস আমার জীবনের সব থেকে কঠিন সময় পার করেছি আমি। কেন/কী জন্যে সেটার ডেসক্রিপশনটা দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে ধরে নিচ্ছি।
মানুষের কাছে প্রার্থনা জানিয়ে নায়িকা বলেন, আমি নায়িকা, আমি মেয়ে, সবকিছু ছাড়িয়ে আমি মানুষ। আমি এই পৃথিবীর সমস্ত মানুষের কাছে প্রার্থনা করছি—হে মানুষ, হে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণ, তোমরা আমার ওপর এবার একটু রহম করো। আগে আমি সুন্দর করে একটু বাঁচি, তারপর এমন হাজারো প্রশ্নের উত্তর দেব।