হোম > বিনোদন > সিনেমা

বিজয়ের দিনে পতাকা উড়িয়ে দেশের গান গাইলাম

সৈয়দ হাসান ইমাম

১৬ ডিসেম্বরের আগেই আমি শুনেছি পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করবে। একাত্তরে বাংলাদেশ সরকারের সব কার্যক্রম পরিচালিত হতো কলকাতার ৮ নম্বর থিয়েটার রোডের একটি বাড়ি থেকে। এই বাড়ি ছিল প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলীসহ ওসমানী সাহেব, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকারসহ আরও অনেকের দপ্তর ছিল এই বাড়ি। এখান থেকেই পরিচালিত হয়েছে ৯ মাসের যুদ্ধ বিজয়ের মূল কৌশল।

ওইখানে ১৫ ডিসেম্বর গিয়েছিলাম এক কাজে। এ কে খন্দকার আমাকে ডেকে তাঁর ঘরে নিয়ে গেলেন। উনি বললেন, কাল বিকেলে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করবে। আপনি কি যাবেন? আমার তো চোখ ছলছল করে উঠল। আমি বললাম, অবশ্যই যাব। আমি ওখান থেকে দ্রুত বেরিয়ে আমরা যাঁরা সাংস্কৃতিক কর্মী একটি অফিস করেছিলাম, একটা গ্যারেজের ওপরে। সেখানে চলে গেলাম। গিয়ে বললাম, কালকে স্যারেন্ডার হবে। আমি যাব। তখন ওখানকার সবাই আমাকে বারণ করলেন। আমি জোর দিয়ে বললাম, না আমি যাব। আবার তোমাদের কাছে ফিরে আসব। কিন্তু ওরা কিছুতেই আমাকে ছাড়ল না। শেষ পর্যন্ত আমার আসা হলো না। এ কে খন্দকারকে আবার গিয়ে বললাম, আমার যাওয়া হচ্ছে না। আমার কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে আমাদের যে বাংলাদেশ মিশন ছিল, সেখানে গিয়ে পতাকা তুললাম (আজ) ১৬ ডিসেম্বর। পতাকা তুলে ওখানে দেশের গান করলাম। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী ও অন্য যাঁরা সংস্কৃতির লোক ছিলাম। সবাই একসঙ্গে হয়েছিলাম। মিষ্টি খেয়েছি। কত যুগ পর যেন সবার মুখে আনন্দের আভা দেখতে পাচ্ছিলাম।

কলকাতায় আমি আমার মেজ মামার বাড়িতে থাকতাম। ওখানে চারতলায় একটা ক্যাম্প করেছিলাম। ঢাকা থেকে যাঁরা যেতেন, তাঁরা ওখানে গিয়ে উঠতেন। খালেদ মোশাররফ, জহির রায়হানসহ আরও অনেকে ওখানে গিয়ে উঠেছিলেন। সাধারণত ওখানে এক বা দুই দিন থাকতেন। এরপর নিজের জায়গা ঠিক করে চলে যেতেন। আমার মেজ মামা চারতলা বাড়ির পুরোটাই আমাদের জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন। আমার এখনো মনে আছে, ১৬ ডিসেম্বর রাতে কলকাতার ‘কোয়ালিটি’ নামের একটি রেস্টুরেন্টে আমি আর আমার স্ত্রী (লায়লা হাসান) বিরিয়ানি খেতে গিয়েছিলাম। দুজনে দেশ নিয়ে অনেক আলাপ করলাম। কী হবে, দেশে গিয়ে কী করতে পারি—এসব।

আমি, আমার স্ত্রী ও বাচ্চাকে নিয়ে ২০ ডিসেম্বর দেশে এলাম। মালবাহী এক প্লেনে চড়ে দেশে এলাম আমরা। আমাদের রেডিওর কাজ শুরু হলো। জানুয়ারির ৯ তারিখ আবার কলকাতায় ফিরে গেলাম। ১২ তারিখে আবার দেশে ফিরি। ওই দিনই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা হয় বঙ্গভবনে।

অনুলিখন: মীর রাকিব হাসান

শেষ হলো ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবের ২৩তম আসর

আমাকে দেখে দর্শক চমকে উঠবে

সুযোগ থাকলে ‘পদাতিক’ যেন দেশের হলে মুক্তি দেওয়া হয়

টালিউডে অভিষেকের দিনে মন খারাপ পরীমণির

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আজকের সিনেমা

ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নাগরিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানালেন জয়া আহসান

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আজকের সিনেমা

ভাড়া কমিয়ে এফডিসিতে শুটিং বাড়ানোর উদ্যোগ

ঢাকায় ‘ইমার্জেন্সি’ নিষিদ্ধ হওয়ার মিথ্যা খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে

সুযোগ না থাকলে হয়তো নাটকেই থাকতাম

সেকশন