দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়ানোর পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রলের শিকার হচ্ছেন টালিউড অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। এই যেমন—মালদ্বীপ ভ্রমণের পুরোনো ছবি শেয়ার করেও ছাড় পাননি এই অভিনেতা। সঙ্গে সঙ্গে বনির ইনস্টাগ্রামের মন্তব্যের ঘরে একের পর এক কটাক্ষ শুরু হয়। নেটিজেনদের মন্তব্য, চুরির টাকায় মালদ্বীপে গেছেন বনি।
কয়েক দিন আগেই কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় ইডিতে ডাকা হয় বনি সেনগুপ্তকে। কুন্তলের টাকায় গাড়ি কেনায় বেশ ঝক্কি পোহাতে হয় তাঁকে। সমস্ত টাকা ফেরত দিয়েই আপাতত রেহাই পেয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি মালদ্বীপে তোলা কিছু ছবি গতকাল সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে বনি লিখেছেন, ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে।’ মালদ্বীপের বিচ ভিলার সামনের আইকনিক কাঠের সাঁকোতে শর্টসে খালি গায়ে বিভিন্নভাবে পোজ দিতে দেখা যায় বনিকে।
মন্তব্যের ঘরে একজন লিখেছেন, ‘নিশ্বাসটা ছাড়ুন। তাহলেই আসল সিক্স প্যাক বের হয়ে আসবে।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘ট্রিপের কথা ছেড়েই দিলাম, টুপি আর চশমাটাও কি চুরির টাকায় কেনা?’
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির তদন্তে দেখা যায়, তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষের অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ লাখ রুপি বনির অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছে। কুন্তল গ্রেপ্তার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় বনিকেও। দুই দিনের জেরার পর শেষমেশ ৪০ লাখ রুপির চেক ইডিকে লিখে দিয়েছিলেন বনি। সেই সময় অভিনেতা জানিয়েছিলেন, তাঁকে একটি ছবির জন্য কুন্তল এই টাকা দিয়েছিলেন। যদিও এর কোনো লিখিত চুক্তিপত্র বনি দেখাতে পারেননি।
সেই সময় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, সত্যিই কি বনির পারিশ্রমিক ৪০ লাখ রুপি? জবাবে অভিনেতা জানিয়েছিলেন, ‘আমি ইন্ডাস্ট্রির লিডিং হিরো। এতগুলো বছর খেটে আমি পরিশ্রম করে এই পারিশ্রমিক অর্জন করেছি। তাই সেটার ওপর কেউ কথা বলতে পারে না।’ তারপর তাঁর বলা এই ‘ইন্ডাস্ট্রির লিডিং হিরো’ মন্তব্য নিয়ে ট্রল যে এখনো চলছে, তা বনির নানা পোস্টের মন্তব্যে চোখ রাখলেই বোঝা যায়।