আগের দিনই তাঁকে দেওয়া হলো সবচেয়ে বাজে অভিনেত্রীর পুরস্কার। আর রাতেই তাঁর হাতে উঠলো সেরা অভিনেত্রীর অস্কার!
সিনেমা জগতের ইতিহাসে সম্ভবত বিরলতম ঘটনা এটি। তিনি কিন্তু হলিউডের অত্যন্ত নামি একজন অভিনেত্রী। অথচ একই সঙ্গে সবচেয়ে বাজে আবার সেরা কীভাবে হলেন এ লাখ টাকার প্রশ্ন।
এমন চমকই দেখিয়েছিলেন সান্ড্রা বুলক। ২০১০ সালে তিনি ‘দ্য ব্লাইন্ড সাইড’ সিনেমায় অনন্য সাধারণ অভিনয়ের জন্য অস্কারে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন। ঠিক আগের দিনই ‘অল অ্যাবাউট স্টিভ’ সিনেমায় অভিনয়ে সবচেয়ে বাজে অভিনেত্রী হিসেবে ‘গোল্ডেন রাস্পবেরি’ পুরস্কারও জেতেন সান্ড্রা।
অবশ্য এর আগে বহুবার সান্ড্রা বুলকের হাত থেকে অস্কার ফসকে গেছে। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বছর বয়সে ‘ব্লাইন্ড সাইড’-এর কল্যাণে তাঁর ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ে।
এর আগের বছরই তিনি গোল্ডেন গ্লোব এবং স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ড জেতেন। ‘লেই অ্যান টাউহি’ সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় গুণে এ দুটি পুরস্কার জেতেন সান্ড্রা।
সমালোচকেরা বলেন, অভিনয়ের প্রতি সান্ড্রার যে একাগ্রতা, ভালোবাসা ও অধ্যবসায় তাতে এই সম্মাননা তাঁর পাওনা ছিল। তাছাড়া একাডেমি অ্যাওয়ার্ড কর্তৃপক্ষও তাঁকে বহুদিন ধরেই সম্মানিত করার এক সুযোগ খুঁজছিল। সে বছর অসংখ্যবার মনোনয়ন পাওয়া অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপকে না দিয়ে সান্ড্রা বুলককে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্কার কর্তৃপক্ষ।
হলিউডের একজন প্রতিষ্ঠিত নায়িকার সবচেয়ে বাজে অভিনেত্রীর তকমা জেতাটা কিন্তু ওই সময় বেশ আলোচিত ঘটনা ছিল। কারণ তখন অস্কারের ৩০ বছরের ইতিহাসে এটি ছিল দ্বিতীয় ঘটনা। তাঁর আগে ২০০৫ সালে ‘ক্যাটওম্যান’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য এ পুরস্কার পান আরেক অস্কারজয়ী অভিনেত্রী হ্যারি বেরি।
এদিকে ২০২১ সালে সবচেয়ে বাজে অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন কেট হাডসন, অ্যান হ্যাথওয়ে এবং কেটি হোমসের মতো অভিনেত্রী।