আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। এ দিবসে জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের কয়েকজন বড় তারকার খবর। যাঁরা একসময় চেইনস্মোকার ছিলেন, কিন্তু কোনো না কোনো কারণে এখন অধূমপায়ী।
সিনেমার সেটে ধূমপানকে ‘না’ অজয়ের
সিগারেট ছাড়া চলতই না অজয়ের। কিন্তু ‘রেইড’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় অভিনেতা হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেন, যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়! সিনেমার সেটে বসেই ধূমপানকে বিদায় জানান অজয় দেবগন। সেটে উপস্থিত সবাই তুমুল করতালি দিয়ে অভিনেতার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।
হলিউড তারকা বেন অ্যাফ্লেকের সিগারেটের নেশা ছিল প্রবল। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ধূমপানে আসক্ত ছিলেন তিনি। ছাড়ার অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পারেননি। আসক্তির কারণে পরিবারের সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ হয়ে গিয়েছিল এ ব্যাটম্যান তারকার। শেষ পর্যন্ত মেডিকেশনের মাধ্যমে ২০১৭ সালে অভ্যাস কাটিয়ে ওঠেন বেন।
২০১৭ সালে হার্ট অ্যাটাক হয় বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ছিলেন কিছুদিন। এর আগে তিনি নিয়মিত ধূমপান করতেন। কিন্তু অসুস্থতার পর সাইফের বোধোদয় হয়। সুস্থ জীবনে ফিরে আসার জন্য সিগারেটকে বিদায় জানান অভিনেতা। বলা যায়, অসুস্থ হয়েই সুস্থ থাকার গুরুত্ব উপলব্ধি করেন সাইফ।
সিগারেটের অভ্যাস নিয়ে সন্তানদের সঙ্গে খুব তর্ক হয়েছে আমির খানের। মেয়ে ইরা আর ছেলে জুনায়েদ নাকি আমিরকে অনেকবার ধূমপান ছাড়তে জোর করত। মাঝেমধ্যে বাধ্য হয়ে সিগারেট থেকে দূরে থাকতেন যদিও। কিন্তু কয়েক দিন পর আবারও চলত আগের মতোই। তবে তৃতীয় সন্তান আজাদ জন্মের সময় একেবারে ধূমপান ছেড়ে দেন আমির খান।
বলিউড তারকা সালমান খান ছিলেন চেইনস্মোকার। তাঁর ঠোঁটে পরপর জ্বলত সিগারেট। কিন্তু একসময় মুখের স্নায়ুসংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্ত হন ‘দাবাং’ তারকা। তাঁর জন্য ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক ছিল সে দিনগুলো। চিকিৎসকের কড়া নিষেধ ছিল সিগারেটের ব্যাপারে। তারপরই ধূমপানের অভ্যাস পুরোপুরি ত্যাগ করেন সালমান।
শুধু পরিচালকের ‘কাট’ বলার অপেক্ষা। সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরার সামনে থেকে সরে গিয়ে সিগারেট ধরাতেন হলিউড অভিনেত্রী চার্লিজ থেরন। কৈশোর থেকেই ধূমপানে আসক্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু দুই সন্তান অগাস্ট আর জ্যাকসনের কথা ভেবে ২০১১ সালে অভ্যাস ত্যাগের চেষ্টা চালান থেরন। মাসখানেকের অদম্য চেষ্টার পর এখন তিনি ধূমপানের অভ্যাসমুক্ত।
একসময় ধূমপানের প্রতি প্রবল আসক্তি ছিল বলিউড তারকা হৃতিক রোশনের। অনেকবার চেষ্টাও করেছেন ছেড়ে দেওয়ার। কিন্তু পারছিলেন না। অবশেষে ‘কৃষ’ সিনেমা করার সময় এ অভ্যাস ত্যাগ করেন তিনি। সিগারেট হাতে হৃতিকের পুরোনো ছবিতে এক ভক্তের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন আমি অধূমপায়ী। যদি সত্যি সত্যি কৃষ হই, তবে আমি প্রথমেই পৃথিবী থেকে সিগারেট নির্মূল করব।’
কৈশোর থেকেই ধূমপানের অভ্যাস রণবীরের। তিনি একাধিকবার স্বীকারও করেছেন, ধূমপানের মতো বাজে অভ্যাস আর হয় না। অনেক চেষ্টা করেছেন সিগারেট ছাড়ার। কিন্তু পারেননি। অবশেষে ‘বারফি’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় তিনি হঠাৎ করে এ অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসেন। তারপর থেকে মাত্র দু-একবার রণবীরকে সিগারেট হাতে দেখা গেছে।
সিগারেটের প্রবল নেশা ছিল কঙ্কনা সেন শর্মার। কিন্তু সন্তান জন্মের পর মাতৃত্বের দায়বদ্ধতা থেকে ধূমপান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মাত্র এক সপ্তাহের চেষ্টার পর সফল হন কঙ্কনা। সে সময় থেকে সব ধূমপায়ী বন্ধুর সঙ্গ ত্যাগ করেন।
টোয়াইলাইট তারকা ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট ধূমপান শুরু করেন মানসিক অস্থিরতা থেকে বাঁচতে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সিগারেট জ্বলেছে তাঁর ঠোঁটে। ক্রিস্টেনের প্রেমিক রবার্ট প্যাটিনসনের প্রবল আপত্তি ছিল বিষয়টি নিয়ে। প্রেমিকের জোরাজুরিতে ২০১১ সালে ধূমপান ছাড়েন ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট।