বিনোদন ডেস্ক
২০০৯ সালের ২৫ জুন মারা যান পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসন। মৃত্যুর সময় তাঁর ঋণের পরিমাণ ছিল ৫০ কোটি মার্কিন ডলার, যা এখনকার দিনে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। আজও সেই ঋণ শোধ হয়নি। আদালতের নথি থেকে জানা গেছে, জ্যাকসনের পাওনাদারের সংখ্যা ৬৫-এর বেশি।
গতকাল শুক্রবার আদালতের নথির বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন বিনোদন ও লাইফস্টাইল সংবাদমাধ্যম পিপল। ২১ জুন, লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্টে জ্যাকসনের এস্টেটের পরিচালকদের করা একটি পিটিশনে তথ্যটি প্রকাশ করা হয়।
মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর পর ২০১৩ সালের আগস্টে মার্কিন সংবাদমাধ্যম লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস এক প্রতিবেদনে এইজি লাইভের সাক্ষী উইলিয়াম অ্যাকারম্যানের বরাত দিয়ে জানিয়েছিল, মাইকেল জ্যাকসনের বেশির ভাগ টাকা খরচ করতেন দান, উপহার, বেড়ানো, আসবাবপত্র ও চিত্রকর্মের পেছনে। এমনকি জুয়েলারির পেছনেও বিপুল খরচ করতেন তিনি।
এইজি লাইভ ছিল জ্যাকসনের সর্বশেষ কনসার্টের প্রমোটার। জ্যাকসনের মৃত্যুর জন্য এই সংস্থার অবহেলাকে দায়ী করে বিপুল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করে তাঁর পরিবার।
মামলার বিবাদীপক্ষের সাক্ষী উইলিয়াম অ্যাকারম্যান লস অ্যাঞ্জেলেস আদালতকে জানান, জ্যাকসনের মিনি থিম পার্ক নেভারল্যান্ড রেঞ্চের খরচও ছিল বিপুল। সেখানে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মী, চিড়িয়াখানা এবং পার্কে ঘোরার জন্য একটি ট্রেন রয়েছে। এসবের পেছনে জ্যাকসনের আয়ের একটি বড় অংশ ব্যয় হয়ে যেত।
অ্যাকারম্যান লস অ্যাঞ্জেলেস আদালতকে আরও জানান, ১৯৯৩ সাল থেকেই জ্যাকসনের ঋণের বোঝা বাড়তে থাকে। ১৯৯৮ সালে সেটি গিয়ে দাঁড়ায় ১৪ কোটি ডলারে। জুন ২০০১ থেকে জুন ২০০৯ সেই অঙ্ক ১৭ কোটিতে পৌঁছায়।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংক অব আমেরিকা থেকে প্রায় ২৭ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিলেন। ব্যাংকটি ২০০৫ সালে সেই ঋণ আবার ফরট্রেস ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপের কাছে বিক্রি করে দেয়। এই প্রতিষ্ঠান মন্দ ঋণ কেনাবেচার বাণিজ্য করে।
২০১৮ সাল থেকে মামলা পরিচালনা ও অন্যান্য খরচ বাবদ জ্যাকসনের ২০০ কোটি ডলারের এস্টেট থেকে অর্থ দাবি করা হয়েছিল। তবে এস্টেটের পরিচালকেরা সফলভাবে এই মামলাগুলোর অধিকাংশই নিষ্পত্তি বা খারিজ করতে সক্ষম হয়েছেন।