ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
মেজর সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ওসি প্রদীপ আদালতের কার্যক্রম শেষে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় হাউমাউ করে কাঁদছিলেন, এমন তথ্য ও ছবি সংবাদমাধ্যমে এসেছে। তবে সেই কান্না ফাঁসির রায় শোনার পর, এমন তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
গত ১৭ নভেম্বর ওই হত্যা মামলার সপ্তম দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ২৯-৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইলের আদালত। এ সময় ওসি প্রদীপ দাশকে কাঁদতে দেখা যায়।
ওই প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হচ্ছে ‘আর বাঁচতে পারলো না কুলাঙ্গার ওসি প্রদীপ! ফাঁসির রায় শুনে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো আদালতে।’
গত ১৮ নভেম্বর জীবনের কথা নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের একটি ভিডিও আপলোড করা হয়। পরে ওই ভিডিওর শিরোনামে উল্লেখ করা বাক্যসহ ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ক্যাপশনে ওসি প্রদীপের ফাঁসির রায়ের কথা বলা হলেও ভিডিওর ভেতরে ফাঁসির রায় সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হয়নি।
১৭ নভেম্বর আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই মামলার মোট সাক্ষী ৮৩ জন। এ পর্যন্ত মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসসহ ৬৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘনিয়ে আসায় মামলার অন্যতম আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের মনোবল ভেঙে পড়েছে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, আসামি ওসি প্রদীপ হয়তো বুঝতে পেরেছেন শিগগিরই নিজ অপরাধের শাস্তি পেতে যাচ্ছেন। সেই আশঙ্কায় তিনি কাঁদছেন। ওই দিন বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম শিরোনাম করে—‘অঝরে কাঁদলেন ওসি প্রদীপ।’
সিদ্ধান্ত
ওসি প্রদীপসহ মেজর সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের বিচারের চূড়ান্ত কোনো রায় এখনো আসেনি। এটি এখনো বিচারাধীন। আদালত থেকে বেরিয়ে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় ওসি প্রদীপ কেঁদেছেন, এই তথ্য সঠিক হলেও সেটি ফাঁসির রায় শোনার পরের ঘটনা, এমন তথ্য বিভ্রান্তিকর।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে, তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা—factcheck@ajkerpatrika.com