ঢাকা: শিশুর জটিল সমস্যাগুলোর একটি হলো কৃমি সমস্যা। সারা পৃথিবীতেই শিশুর বিভিন্ন ধরনের কৃমির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। কৃমির হাত থেকে শিশুকে বাঁচাতে, কেন কৃমি হয় সে সম্পর্কে জানাটা খুব জরুরি।
কৃমি হওয়ার কারণ:
অনেকের ধারণা পেটে ২-১টা কৃমি থাকা ভালো। এ ধারণা মোটেই ঠিক নয়। কৃমি শরীরের কোনো উপকার করে না, বরং ক্ষতিই করে। কৃমি হজমে সাহায্য না করে উল্টো বদহজম, অজীর্ণ, ক্ষুধামন্দা ও পেটের অসুখ সৃষ্টি করে। মিষ্টি খেলে কৃমি হয়, এমন কথাও বলেন কেউ কেউ। মিষ্টি খাওয়ার সঙ্গে কৃমি হওয়ার ব্যাপারটি কোনোভাবেই যুক্ত নয়। নোংরা, ময়লা পরিবেশ, স্যাঁতসেঁতে মাটি হচ্ছে কৃমির জন্য আরামপ্রদ আবাসস্থল, যেখানে কৃমির ডিম ও বাচ্চা থাকে। সেসব নোংরা স্থানে চলাফেরা করলে কৃমি পায়ের তালু ভেদ করে শরীরে ঢুকে পড়ে। নোংরা স্থানের মাটি ও ময়লা হাত দিয়ে স্পর্শ করলে অসবাধানতা ও অপরিচ্ছন্নতার সুযোগে তা নখ দিয়ে শরীরে ঢুকে পড়তে পারে। এ ছাড়া নোংরা পানিতেও কৃমির ডিম বা বাচ্চা থাকতে পারে। দূষিত পানি পান করার কারণেও কৃমি শরীরে ঢুকে পড়ে।
কৃমি থেকে বাঁচার উপায়
লেখক: মেডিসিন এবং হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ, সাবেক অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল