ডা. প্রদীপ্ত চৌধুরী
‘দেখতে দেখতে আমার বাবুটা বড় হয়ে গেল।’
এ বাক্য যেমন শিশুকে কোলে ধরে রাখতে না পারার আক্ষেপ, পাশাপাশি একটা নিশ্চয়তাও যে শিশু স্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে উঠছে। শিশুরা দুরন্ত হবে, খেলায় মেতে থাকবে, আবদার করবে আর ‘দেখতে দেখতে’ বেড়ে উঠবে। যদিও চিকিৎসাবিজ্ঞানে বেড়ে ওঠা আর লম্বা হওয়া এক নয়। তবু সব শিশুর ক্ষেত্রে লম্বা হওয়ার বিষয়টি একই রকম হয় না। কোন ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন আর কোনটা দুশ্চিন্তার নয়, আসুন, জেনে নিই।
শিশুরা কখন বাড়ে
জন্মের পর প্রথম দুই থেকে তিন বছর এবং পরবর্তী সময়ে বয়ঃসন্ধিকালে শিশুরা দ্রুত লম্বা হয়। এভাবে মেয়েরা ১৫ থেকে ১৬ আর ছেলেরা ১৭ থেকে ১৮ বছর বয়সে মোটামুটি স্বাভাবিক উচ্চতায় পৌঁছে যায়। মাঝের সময়টুকুতে শিশু গড়ে বছরে ২ ইঞ্চি লম্বা হয়। যদিও আমরা মনে করি, কে কতটা লম্বা হবে, সেটা পুরোপুরি গ্রোথ হরমোনের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু শিশুর উচ্চতা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জেনেটিক পটেনশিয়ালের ওপর নির্ভর করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মা-বাবার শারীরিক উচ্চতাও ঠিক করে দেয়, শিশুর উচ্চতার লক্ষ্যমাত্রা কেমন হতে পারে।
বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার কারণ
পুষ্টিকর খাবারের অভাব এবং কৃমিজনিত অপুষ্টি শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার অন্যতম কারণ। প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং আয়রনের ঘাটতি হাড় ও পেশির বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। এ ছাড়া হাঁপানি, কিডনির সমস্যা, হার্টের সমস্যা, লিভারের রোগের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগের কারণে শিশুদের বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লম্বা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু হরমোনের কারণে শিশু খাটো হয়ে যেতে পারে। এসবের মধ্যে প্রধান ও সহজে চিকিৎসাযোগ্য হচ্ছে থাইরয়েডের সমস্যা। পাশাপাশি রয়েছে গ্রোথ হরমোন ও সেক্স হরমোনের অভাব। এ ছাড়া বেশ কিছু জেনেটিক অসুখ; যেমন টার্নার সিনড্রোম, নুনান সিনড্রোম ও প্রাডার-উলি সিনড্রোমে শিশুরা খাটো হতে পারে। স্বল্প ওজন নিয়ে জন্মানো শিশু এবং বিলম্বিত বয়ঃসন্ধির কারণে অনেকে খর্বকায় থাকতে পারে। সর্বোপরি, অপর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপও শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি প্রভাবিত করে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে খর্বকায় হওয়ার কোনো কারণই পাওয়া যায় না।
শিশুর উচ্চতা বাড়ানোর জন্য যা করা যেতে পারে
সঠিক খাদ্যাভ্যাস
সুষম খাবার শিশুর বৃদ্ধির ভিত্তি। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিম, মাছ, মাংস, ডাল, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার রাখুন। ক্যালসিয়ামের জন্য পাতাযুক্ত শাক, ছোট মাছ, টক দই খাওয়ান। ভিটামিন ডি-এর জন্য রোদে খেলাধুলা করতে দিন। জাঙ্ক ফুড, প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে তাজা ফল ও শাকসবজি দেওয়ার চেষ্টা করুন। খাবারে রুচি না থাকলে রান্নায় বৈচিত্র্য আনুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ান।
শারীরিক ক্রিয়াকলাপ ও ঘুমের গুরুত্ব
খেলাধুলা ও ব্যায়াম হাড়ের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। কোমর বাঁকিয়ে পা ধরা, কাঁধ ঘুরিয়ে ব্যায়াম, দড়ি লাফ, সাইকেল চালানো, ফুটবলের মতো খেলা দৈহিক বৃদ্ধিতে উপকারী। পাশাপাশি গভীর ঘুমের সময় গ্রোথ হরমোন নিঃসৃত হয়। একটানা অনেকক্ষণ ঘুমিয়ে থাকলে গ্রোথ হরমোন ভালো কাজ করে। তাই তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া এবং নিরবচ্ছিন্ন ঘুমানো—দুটোই শিশুর লম্বা হওয়ার জন্য উপকারী।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
শিশুদের লম্বা হওয়া পরিমাপের জন্য প্রতিবছর জন্মদিনে তাদের উচ্চতা দেখে রাখা হতে পারে দারুণ একটা সমাধান। যদিও মনে হয়, শিশুরা বাড়ছে না। কিন্তু পরিমাপ দেখলেই বোঝা যাবে, শিশু এক বছরে কতটা লম্বা হয়েছে। তবে যদি শিশুর উচ্চতা একেবারেই না বাড়ে, বয়সী শিশুদের তুলনায় লক্ষণীয়ভাবে খাটো হয়, হঠাৎ বৃদ্ধি থেমে যায়, সঙ্গে মাথাব্যথা কিংবা চোখে ঝাপসা দেখার মতো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
ভুল ধারণা এড়িয়ে চলা উচিত
কিছু অভিভাবক অনলাইনের ভিডিও কিংবা টিভিতে বিভিন্ন ধরনের ফর্মুলার বিজ্ঞাপন বা স্থানীয় ভেষজ ওষুধের ওপর নির্ভর করেন। এগুলো শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। মনে রাখা জরুরি, জেনেটিক কারণ ছাড়া সঠিক পুষ্টি এবং জীবনযাপনই শিশুর সর্বোচ্চ সম্ভাব্য উচ্চতা অর্জনে সাহায্য করবে।
আরেকটি বিষয় মনে রাখা খুব জরুরি, একটি বাগানের প্রতিটি ফুলের মতো প্রত্যেক শিশুর বৃদ্ধির গতি আলাদা থাকে। তাই অযথা দুশ্চিন্তা না করে ধৈর্য ধরতে হবে। পুষ্টি, ব্যায়াম ও ঘুমের দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ ও সহায়তা নিন। সঠিক যত্নে আপনার সন্তানই হয়ে উঠবে সুস্থ ও প্রাণবন্ত।
ডা. প্রদীপ্ত চৌধুরী, রেসিডেন্ট, এন্ডোক্রাইনোলজি
‘দেখতে দেখতে আমার বাবুটা বড় হয়ে গেল।’
এ বাক্য যেমন শিশুকে কোলে ধরে রাখতে না পারার আক্ষেপ, পাশাপাশি একটা নিশ্চয়তাও যে শিশু স্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে উঠছে। শিশুরা দুরন্ত হবে, খেলায় মেতে থাকবে, আবদার করবে আর ‘দেখতে দেখতে’ বেড়ে উঠবে। যদিও চিকিৎসাবিজ্ঞানে বেড়ে ওঠা আর লম্বা হওয়া এক নয়। তবু সব শিশুর ক্ষেত্রে লম্বা হওয়ার বিষয়টি একই রকম হয় না। কোন ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন আর কোনটা দুশ্চিন্তার নয়, আসুন, জেনে নিই।
শিশুরা কখন বাড়ে
জন্মের পর প্রথম দুই থেকে তিন বছর এবং পরবর্তী সময়ে বয়ঃসন্ধিকালে শিশুরা দ্রুত লম্বা হয়। এভাবে মেয়েরা ১৫ থেকে ১৬ আর ছেলেরা ১৭ থেকে ১৮ বছর বয়সে মোটামুটি স্বাভাবিক উচ্চতায় পৌঁছে যায়। মাঝের সময়টুকুতে শিশু গড়ে বছরে ২ ইঞ্চি লম্বা হয়। যদিও আমরা মনে করি, কে কতটা লম্বা হবে, সেটা পুরোপুরি গ্রোথ হরমোনের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু শিশুর উচ্চতা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জেনেটিক পটেনশিয়ালের ওপর নির্ভর করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মা-বাবার শারীরিক উচ্চতাও ঠিক করে দেয়, শিশুর উচ্চতার লক্ষ্যমাত্রা কেমন হতে পারে।
বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার কারণ
পুষ্টিকর খাবারের অভাব এবং কৃমিজনিত অপুষ্টি শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার অন্যতম কারণ। প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং আয়রনের ঘাটতি হাড় ও পেশির বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। এ ছাড়া হাঁপানি, কিডনির সমস্যা, হার্টের সমস্যা, লিভারের রোগের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগের কারণে শিশুদের বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লম্বা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু হরমোনের কারণে শিশু খাটো হয়ে যেতে পারে। এসবের মধ্যে প্রধান ও সহজে চিকিৎসাযোগ্য হচ্ছে থাইরয়েডের সমস্যা। পাশাপাশি রয়েছে গ্রোথ হরমোন ও সেক্স হরমোনের অভাব। এ ছাড়া বেশ কিছু জেনেটিক অসুখ; যেমন টার্নার সিনড্রোম, নুনান সিনড্রোম ও প্রাডার-উলি সিনড্রোমে শিশুরা খাটো হতে পারে। স্বল্প ওজন নিয়ে জন্মানো শিশু এবং বিলম্বিত বয়ঃসন্ধির কারণে অনেকে খর্বকায় থাকতে পারে। সর্বোপরি, অপর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপও শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি প্রভাবিত করে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে খর্বকায় হওয়ার কোনো কারণই পাওয়া যায় না।
শিশুর উচ্চতা বাড়ানোর জন্য যা করা যেতে পারে
সঠিক খাদ্যাভ্যাস
সুষম খাবার শিশুর বৃদ্ধির ভিত্তি। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিম, মাছ, মাংস, ডাল, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার রাখুন। ক্যালসিয়ামের জন্য পাতাযুক্ত শাক, ছোট মাছ, টক দই খাওয়ান। ভিটামিন ডি-এর জন্য রোদে খেলাধুলা করতে দিন। জাঙ্ক ফুড, প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে তাজা ফল ও শাকসবজি দেওয়ার চেষ্টা করুন। খাবারে রুচি না থাকলে রান্নায় বৈচিত্র্য আনুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ান।
শারীরিক ক্রিয়াকলাপ ও ঘুমের গুরুত্ব
খেলাধুলা ও ব্যায়াম হাড়ের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। কোমর বাঁকিয়ে পা ধরা, কাঁধ ঘুরিয়ে ব্যায়াম, দড়ি লাফ, সাইকেল চালানো, ফুটবলের মতো খেলা দৈহিক বৃদ্ধিতে উপকারী। পাশাপাশি গভীর ঘুমের সময় গ্রোথ হরমোন নিঃসৃত হয়। একটানা অনেকক্ষণ ঘুমিয়ে থাকলে গ্রোথ হরমোন ভালো কাজ করে। তাই তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া এবং নিরবচ্ছিন্ন ঘুমানো—দুটোই শিশুর লম্বা হওয়ার জন্য উপকারী।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
শিশুদের লম্বা হওয়া পরিমাপের জন্য প্রতিবছর জন্মদিনে তাদের উচ্চতা দেখে রাখা হতে পারে দারুণ একটা সমাধান। যদিও মনে হয়, শিশুরা বাড়ছে না। কিন্তু পরিমাপ দেখলেই বোঝা যাবে, শিশু এক বছরে কতটা লম্বা হয়েছে। তবে যদি শিশুর উচ্চতা একেবারেই না বাড়ে, বয়সী শিশুদের তুলনায় লক্ষণীয়ভাবে খাটো হয়, হঠাৎ বৃদ্ধি থেমে যায়, সঙ্গে মাথাব্যথা কিংবা চোখে ঝাপসা দেখার মতো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
ভুল ধারণা এড়িয়ে চলা উচিত
কিছু অভিভাবক অনলাইনের ভিডিও কিংবা টিভিতে বিভিন্ন ধরনের ফর্মুলার বিজ্ঞাপন বা স্থানীয় ভেষজ ওষুধের ওপর নির্ভর করেন। এগুলো শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। মনে রাখা জরুরি, জেনেটিক কারণ ছাড়া সঠিক পুষ্টি এবং জীবনযাপনই শিশুর সর্বোচ্চ সম্ভাব্য উচ্চতা অর্জনে সাহায্য করবে।
আরেকটি বিষয় মনে রাখা খুব জরুরি, একটি বাগানের প্রতিটি ফুলের মতো প্রত্যেক শিশুর বৃদ্ধির গতি আলাদা থাকে। তাই অযথা দুশ্চিন্তা না করে ধৈর্য ধরতে হবে। পুষ্টি, ব্যায়াম ও ঘুমের দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ ও সহায়তা নিন। সঠিক যত্নে আপনার সন্তানই হয়ে উঠবে সুস্থ ও প্রাণবন্ত।
ডা. প্রদীপ্ত চৌধুরী, রেসিডেন্ট, এন্ডোক্রাইনোলজি
দীর্ঘ কয়েক দশক গবেষণা ও বিতর্কের পর এবার একটি নতুন ধরনের ডায়াবেটিসকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ)। ‘টাইপ ৫ ডায়াবেটিস’ হিসেবে চিহ্নিত এই রোগ মূলত অপুষ্টিজনিত এবং সাধারণত কমবয়সী, হালকা-গড়নের ও অপুষ্টিতে ভোগা তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দেখা যায়।
১ দিন আগেদুই মাস বয়সী ছেলেকে নিয়ে ঢাকার মহাখালীতে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের এক ব্যক্তি। জলবসন্তে (চিকেনপক্স) আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করান ৯ এপ্রিল। সংক্রামক এ রোগ শিশুটির শরীরে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
২ দিন আগেক্যাম্পিউটেড টোমোগ্রাফি। এই খটমটে নামে না চিনলেও ‘সিটি স্ক্যান’ বললে সহজে চিনে ফেলি আমরা। চিকিৎসাক্ষেত্রে রোগ শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি। অনেক সময় জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করে এটি। সাধারণত রোগনির্ণয়ে বা কোনো দুর্ঘটনার শিকার হলে কতটা ক্ষতি হয়েছে...
৩ দিন আগেখুবই কমদামি দুটি ওষুধের সমন্বিত ব্যবহার প্রতিরোধ করতে পারে হাজার হাজার স্ট্রোক ও হৃদ্রোগ। সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ ও সুইডিশ একদল গবেষক। তাঁরা বলেছেন, দুটি সস্তা ওষুধ একসঙ্গে ব্যবহার করলে হাজার হাজার হৃদ্রোগ বা স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যেতে পারে এবং বহু মানুষের জীবন...
৩ দিন আগে