যাঁদের জীবনযাপন শৃঙ্খলার মধ্যে থাকে বা যাঁরা নিয়ম মেনে চলেন, তাঁদের মগজে অধোগতির পরিবর্তন হয় কম। বিজ্ঞানীরা মৃত্যুর পর মগজের খুঁটিনাটি দেখেছেন, বিশেষ করে আলঝেইমার বা চিত্তভ্রংশ রোগীদের।
এসব গবেষণায় দেখা গেছে, পাঁচটি বিষয় জীবনকে স্বাস্থ্যকর করে তুলে বুদ্ধিবৃত্তিক কাজকর্ম ভালো রাখতে পারে। এগুলো হলো:
১. স্বাস্থ্যকর ডায়েট
২. শরীরচর্চা
৩. মগজ খেলানো বুদ্ধির ব্যবহার
৪. ধূমপান বাদ দেওয়া
৫. মদ্যপান পরিহার করা
মগজ টাটকা-সজীব থাকে তাঁদের, যাঁরা—
» ধূমপায়ী নন
» প্রতি সপ্তাহে ১৫০ মিনিট শরীরচর্চা করেন
» মদ্যপান করেন সীমিতভাবে
» মেডিটারেনিয়ান বা ড্যাশ ডায়েট বা মাইন্ড ডায়েট খান
বৃদ্ধকালে মগজের চর্চার জন্য সংবাদপত্র কিংবা বই পড়া, চিঠিপত্র লেখা, লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়া, দাবা বা শব্দজব্দ খেলা ভালো অভ্যাস।
পৃথিবীতে ডিমেনশিয়া আছে ৫৫ মিলিয়ন মানুষের। এ রোগে প্রতিবছর নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় এক কোটি মানুষ। বয়স গড়ালে স্মৃতি প্রতারণা করতেই পারে। সকালে যে জিনিস যেখানে রেখেছেন, দুপুরে তা মনে করা কঠিন হতে পারে বুড়ো বয়সে। অনেক দিনের চেনা মানুষের নাম মনে না আসতেই পারে এবং পরিচয়ও ভুলে যেতে পারেন অনেকে।
জীবনযাপনের ভূমিকা কী
সোজা কথায়, যে লাইফস্টাইল আমাদের হৃদ্রোগ আর রক্তনালির ঝুঁকি কমাবে, তা-ই ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাবে। ধূমপান ও মদ্যপানমুক্ত জীবনের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার এবং আদর্শ ওজন থাকলে ডিমেনশিয়াকে ঠেকিয়ে রাখা যেতে পারে অনেক দিন পর্যন্ত। এর সঙ্গে রক্তে শর্করা, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েডের রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ডিমেনশিয়া হয়তো আপনাকে ছুঁতেও পারবেন না। এর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে, ইতিবাচক জীবনচর্চা। যেমন প্রতিদিন নতুন কিছু পড়া বা নতুন কিছু শেখা।
পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল