ডায়াবেটিস নেই, উচ্চ রক্তচাপ নেই, কোলেস্টেরল নেই, তবু হলো হার্ট অ্যাটাক! নীরবে, অপ্রত্যাশিতভাবে হলো।
এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল ৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তির। তিনি যাচ্ছিলেন এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে। হঠাৎ গোঙানি, তারপর অজ্ঞান। আবিষ্কার করা হলো, তাঁর প্রায় সব ধমনি বন্ধ। সতর্কসংকেত ছিল না কোনো। তবে সময়মতো এনজিওপ্লাস্টি হওয়ায় প্রাণ বাঁচল।
প্রথমে তাঁকে নেওয়া হয়েছিল কাছের একটি হাসপাতালে। তাঁর তখন কার্ডিওজেনিক শক চলছে। দেওয়া হলো সিপিআর ভেন্টিলেটর ট্রিটমেন্ট। অজ্ঞান অবস্থায় তাঁকে নেওয়া হলো কার্ডিয়াক হাসপাতালে। অ্যাম্বুলেন্সে চলেছিল ভেন্টিলেশন, সিপিআর। এরপর কার্ডিয়াক ক্যাথ ল্যাবে করা হলো এনজিওগ্রাফি। হার্টের প্রধান ধমনি এলএডি ৯৯ থেকে ১০০ শতাংশ বন্ধ। সঙ্গে সঙ্গে এনজিওপ্লাস্টি করা হলো।
এরপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলো হৃদ্ছন্দ। কার্ডিয়াক সার্জন বলছিলেন, কেস ছিল গুরুতর। প্রতি মিনিটে অবনতি হচ্ছিল শরীরের অবস্থা। তাঁর ছিল ভেন্ট্রিকুলার ফাইব্রিলেশন। সে জন্য হচ্ছিল বারবার হার্ট অ্যাটাক। এমন অভিজ্ঞতার পর তিনি নিয়েছিলেন ওষুধ—কোলেস্টেরল কমানো আর রক্ত পাতলা করার ওষুধ।
কার্ডিয়াক বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন, এটি হলো যুবকদের মধ্যে টিপিক্যাল নীরব হার্ট অ্যাটাক।
কী হয়েছিল আসলে
ধমনিদের মধ্যে হয়তো ছিল ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ প্লাক। তা খুব বেশি সমস্যার ছিল না। কোলেস্টেরলের মানও ছিল স্বাভাবিক বা অবিপজ্জনক। তবে কোনো ট্রিগার, যেমন মানসিক চাপ প্লাক ভেঙে দেয়। এরপর রক্ত জমাট বাঁধে।
তাঁকে দেওয়া হয়েছিল লাইফস্টাইল পরিবর্তনের পরামর্শ, পরিমিত ব্যায়াম ও সঠিক ডায়েট।
নীরব হার্ট অ্যাটাক এড়াতে যা করবেন
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল