অনলাইন ডেস্ক
ক্ষুধা লাগলেই আমরা খাবার খুঁজি। না খাওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের এই ক্ষুধার অনুভূতি বাড়তেই থাকে। গবেষকেরা বলছেন, ক্ষুধার এই অনুভূতির সঙ্গে আয়ুষ্কালেরও একটি সম্পর্ক আছে। তাঁদের মতে, দীর্ঘ সময় ক্ষুধার্ত থাকলে, তা আয়ু বাড়িয়ে দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক চাঞ্চল্যকর এই তথ্যটি দিয়েছেন। ১১ মে একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে তাঁদের এ সম্পর্কিত গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে শুক্রবার দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণাটি করতে গিয়ে গবেষকেরা প্রাথমিকভাবে কিছু মাছিকে বেছে নিয়েছিলেন। পরে এসব মাছিকে খাবার না দিয়ে তাঁরা ক্ষুধার্ত করে তোলেন। গবেষণাটির সর্বশেষ ধাপে তাঁরা দেখেন, ক্ষুধার্ত থাকার অনুভূতি মাছিদের মস্তিষ্কে এক ধরনের উদ্দীপনার সৃষ্টি করে। এই উদ্দীপনা তাদেরকে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি সময় বেঁচে থাকতে সহায়তা করেছে।
গবেষকদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ক্ষুধার অনুভূতি মস্তিষ্কে কিছু রাসায়নিক পরিবর্তন নিয়ে আসে। এই পরিস্থিতি জিনের ওপর প্রভাব ফেলে বার্ধক্যের গতি কমিয়ে দেয়।
সরাসরি মানুষের ওপর বিষয়টি পরীক্ষা না করলেও গবেষকেরা বলছেন, ক্ষুধার্ত মাছিদের মস্তিষ্কে যে পরিবর্তন দেখা গেছে, তা মানুষসহ অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রেও একই হতে পারে।
এর আগে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, ক্যালরি গ্রহণে নিয়ন্ত্রণ আনলে অর্থাৎ কম ক্যালরি গ্রহণ করে আয়ুষ্কাল বাড়াতে পারে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী।