ঢাকা: উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডায় বেশ কয়েক দিন ধরেই তীব্র দাবদাহ চলছে। দেশটি শীত ও তুষারপাতে অভ্যস্ত। কিন্তু হঠাৎ করেই দেশটিতে দাবদাহ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্র থেকে সোমবার পর্যন্ত দাবদাহে দেশটির ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে ২৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকের সংখ্যাই বেশি। কললাম্বিয়া প্রদেশের পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
কলাম্বিয়া প্রদেশের প্রধান লিসা ল্যাপোন্তে এটিকে ‘নজিরবিহীন সময়’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এক বিবৃতিতে লিসা ল্যাপোন্তে বলেন, গত সপ্তাহের শেষ দিকে দাবদাহ শুরু হয়। সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। পাল্লা দিয়ে বাড়ে মৃতের সংখ্যাও। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত চলছে। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৩৩ জন মারা গেছেন। তবে এ সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে। প্রাকৃতিকভাবে তাপমাত্রার পরিবর্তন হওয়ার ফলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছে। যার প্রভাব বৃদ্ধ, নবজাতক, শিশু ও বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের ওপর পড়ছে।
রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের করপোরাল মাইক কালনজ বলেন, ‘আপনার প্রতিবেশীদের খোঁজ নিন, পরিবারের সদস্যদের খোঁজ রাখুন। এমনকি আপনার পরিচিত বয়স্ক মানুষ যারা আছেন, তাঁদেরও খোঁজ নিন।’
এদিকে, মঙ্গলবার দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এদিন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার লেটনে তাপমাত্রা ছিল ৪৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে গত সোমবার কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার লেটন এলাকায় সর্বোচ্চ ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৭.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।