
গাম অ্যারাবিক! একাশিয়া গাছ থেকে প্রাপ্ত একধরনের প্রাকৃতিক পদার্থ, যা কোকা-কোলা, এমঅ্যান্ডএমের তৈরি মিষ্টি চকলেট, ল’রিয়েলের লিপস্টিক, নেসলের পশুখাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের উপাদান মিশ্রণ স্থিতিস্থাপক ও ঘন করতে ব্যবহৃত হয়। বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পণ্য। সম্প্রতি এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের বাণিজ্য সুদানের গৃহযুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী এই গাম অ্যারাবিকের উৎপাদন অঞ্চলগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে এবং পশ্চিমা কোম্পানিগুলোর জন্য এই পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতের প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলছে। বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ গাম অ্যারাবিক উৎপাদনকারী দেশ সুদান। গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটি থেকে এই পণ্য সরবরাহ ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। এই বাহিনী গত বছর সুদানের প্রধান গাম সংগ্রহ এলাকা কর্দোফান ও দারফুরের নিয়ন্ত্রণ নেয়। আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে থাকা এই অঞ্চলগুলোতে কাঁচামালটির নিয়ন্ত্রণ এখন একচেটিয়াভাবে সুদানি ব্যবসায়ীদের হাতে। অবশ্য তাদের আরএসএফকে বখরা দিতে হয়। আশঙ্কার বিষয় হলো, এই গাম প্রায়শই অনানুষ্ঠানিক চ্যানেল ও সীমান্ত বাজারের মাধ্যমে সঠিক সার্টিফিকেশন ছাড়াই পাচার করা হয়।
সংঘাত শুরুর আগে কাঁচা গাম রাজধানী খার্তুমে বাছাই করা হতো এবং এরপর পোর্ট সুদান থেকে সুয়েজখালের মাধ্যমে জাহাজে করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হতো। কিন্তু আরএসএফ মূল উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে পশ্চিম কর্দোফান এবং দক্ষিণ সুদানের সীমান্ত বরাবর চোরাচালান বাজারে বিপুল পরিমাণে গাম অ্যারাবিক দেখা যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা স্থানীয় ভূমিমালিকদের কাছ থেকে গাম সংগ্রহ করে এবং মার্কিন ডলারের বিনিময়ে দক্ষিণ সুদানের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে।
আরএসএফ এই পুরো প্রক্রিয়ার ‘সুরক্ষা’ দেওয়ার বিনিময়ে কেবল নগদ অর্থই গ্রহণ করে না, পাশাপাশি সোনা, গবাদিপশু, কৃষি এবং ব্যাংকিংয়ের মতো অন্যান্য লাভজনক উপাদান গ্রহণ করে।
গাম অ্যারাবিকের এই নতুন, অস্পষ্ট বাণিজ্য শিল্পের উৎস এবং ক্রেতাদের মধ্যে গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, পাচারকৃত পণ্যটি বিশ্বব্যাপী উপাদান প্রস্তুতকারকদের ক্রয়ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ করতে পারে।
শিল্প প্রতিনিধিরা উল্লেখ করেছেন, ঐতিহ্যগত সরবরাহ শৃঙ্খল সংঘাতের কারণে বিপর্যস্ত হয়েছে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিশেষ খাদ্য উপাদান সরবরাহকারী ইকো-এগ্রির গ্লোবাল মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ হার্ভে ক্যানেভেট সুদানে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতার প্রভাব সম্পর্কে বলেন: ‘আজ, সুদানের গামের সবটাই পাচার করা হয়। কারণ, দেশে কোনো প্রকৃত কর্তৃপক্ষ নেই।’
মূলত আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে থাকা বেশির ভাগ গাম অ্যারাবিক উৎপাদন কোনো কার্যকর সরকারি কর্তৃপক্ষ তদারকি করে না। ফলে ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে চোরাবাজারের আশ্রয় নেন, যেখানে বৈধতা যাচাই করা কঠিন। এই অবস্থায় ক্রেতারা ক্রমশ সতর্ক হয়ে উঠছেন সেডেক্স সার্টিফিকেশন ছাড়া সরবরাহ গ্রহণ করতে। সেডেক্স সার্টিফিকেশন সরবরাহকারীদের টেকসই এবং নৈতিক মানদণ্ড পূরণের মূল নিশ্চয়তা।
কিছু ব্যবসায়ী এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অস্বাভাবিক কম দামে পণ্য সরবরাহ করছেন। এই কমদামি পণ্যের মূল উৎস প্রায়শই চাদ এবং সেনেগালের মতো প্রতিবেশী দেশগুলো। মিসর, দক্ষিণ সুদানের মতো দেশগুলো থেকেও বিক্রি হচ্ছে এই উপাদান। অথচ নিকট অতীতেও গাম অ্যারাবিকের রপ্তানি বাজারে এসব দেশের তেমন কোনো ভূমিকা ছিল না।
চোরাচালান হওয়ার কারণে গাম অ্যারাবিকের দাম যথেষ্ট কমে যাচ্ছে। যেমন—এক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় এক বিক্রেতা জানান, তিনি প্রতি মেট্রিক টন গাম অ্যারাবিক বিক্রি করতে চান ১ হাজার ৯০০ ডলারে, যেখানে ক্রেতার অনুমান ছিল, প্রতি মেট্রিক টনের দাম হতে পারে ৩ হাজার ডলার। এ ছাড়া, এই বাজার এমনভাবে পরিচালিত হয়, যার ফলে মূল্য নির্ধারণ, সময়সূচি নির্ধারণ এমনকি সরবরাহ রুটের বিষয়েও অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করা হয় এবং সঠিক ডকুমেন্টেশনের অনুপস্থিতি পণ্যের উৎস ট্রেস করা কঠিন করে তোলে।
খার্তুমভিত্তিক ইউনিটি অ্যারাবিক গামের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ হুসেইন সর্জের কথায় এই চোরাচালানের সঙ্গে আরএসএফের সম্পৃক্ততা আরও স্পষ্ট হয়। সর্জে জানান, ডিসেম্বরে সেনেগাল ও চাদের ব্যবসায়ীরা তাঁর কাছে গাম অ্যারাবিক বিক্রি করতে চান। তার আগে আরএসএফ ২০২৩ সালে সর্জের সব গাম সরবরাহ বাজেয়াপ্ত করে। পরে তিনি মিসরে পালিয়ে যান। কম দাম এবং সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্টেশনের অভাবের কারণে সর্জে পণ্য ক্রয় করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।
সর্জে বলেন, ‘পাচারকারীরা আরএসএফের মাধ্যমে গাম অ্যারাবিক পাচার করতে সক্ষম হয়। কারণ, আরএসএফ পুরো উৎপাদন অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে।’
মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলে আরএসএফের এক কর্মকর্তা তাঁর গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের সমর্থনে বলেন, তারা ‘গাম অ্যারাবিকের’ বাণিজ্য সুরক্ষিত করেছে এবং এটি করতে গিয়ে নামমাত্র ‘ফি গ্রহণ’ করেছে। তিনি জানান, আরএসএফের বিরুদ্ধে আনা আইন ভঙ্গের অভিযোগ মূলত সম্মানহানির লক্ষ্যে প্রচারিত।
তবে গাম অ্যারাবিক সংশ্লিষ্ট শিল্প খাতের লোকজন এই পণ্যের ওপর বৈধ কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ না থাকার বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। নেক্সিরা, অ্যালান্ড অ্যান্ড রবার্ট এবং ইনগ্রেডিয়নের মতো বেশ কয়েকটি কোম্পানি সুদান থেকে গাম অ্যারাবিকা না কিনে বিকল্প উৎসের কথা ভাবছেন। নেক্সিরা সুদান ছাড়াও আরও ১০টি দেশ থেকে কেনার প্রচেষ্টা শুরু করেছে। ইনগ্রেডিয়ন সরবরাহ শৃঙ্খলে লেনদেনে বৈধতা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর প্রোটোকল বজায় রাখার চেষ্টা করছে এখনো।
প্রচলিত বাজার ছাড়াও, গাম অ্যারাবিকের অবৈধ বাণিজ্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও ছড়িয়ে পড়েছে। ইসম সিদ্দিক নামে ব্রিটেনে আশ্রয় নেওয়া এক সুদানি জানান, ২০২৩ সালের এপ্রিলে তিনি নমুনা হিসেবে তিন সুটকেস গাম নিয়ে দেশ ছাড়েন। পরে তার খার্তুমে তাঁর গুদামগুলো লুট করে আরএসএফ।
ইসম সিদ্দিক জানান, এক বছর পরে তাঁর ব্র্যান্ডেড গাম একটি অনলাইন ফেসবুক গ্রুপে বিক্রির জন্য দেখা যায়। তিনি জানান, এ থেকে এটি স্পষ্ট যে, আরএসএফ কেবল প্রচলিত বাণিজ্য পথই নয় বরং আধুনিক বিক্রয় চ্যানেলগুলোকেও ব্যবহার করছে ফায়দা তোলার কাজে। এই অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্য পদ্ধতি, সীমান্ত পাচার এবং অনলাইন বিক্রি বিশ্বব্যাপী বৈধভাবে গাম অ্যারাবিক কেনা কোম্পানিগুলোর জন্য জটিল চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
সুদানের সংকট বিশ্বব্যাপী গাম অ্যারাবিকের বাজারকে অবৈধ চ্যানেল এবং সন্দেহজনক অনুশীলনের এক গোলকধাঁধায় পরিণত করেছে। আরএসএফের প্রভাব সরবরাহ শৃঙ্খলের প্রতিটি ধাপে থাকায় ক্রেতারা ঝুঁকি গ্রহণ বা বিকল্প উৎস থেকে পণ্য ক্রয়ে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু উৎস কম থাকায় পুরো বিষয়টি এখন আরএসএফের দয়ার ওপর নির্ভর করছে।
আরও খবর পড়ুন:

গাম অ্যারাবিক! একাশিয়া গাছ থেকে প্রাপ্ত একধরনের প্রাকৃতিক পদার্থ, যা কোকা-কোলা, এমঅ্যান্ডএমের তৈরি মিষ্টি চকলেট, ল’রিয়েলের লিপস্টিক, নেসলের পশুখাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের উপাদান মিশ্রণ স্থিতিস্থাপক ও ঘন করতে ব্যবহৃত হয়। বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পণ্য। সম্প্রতি এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের বাণিজ্য সুদানের গৃহযুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী এই গাম অ্যারাবিকের উৎপাদন অঞ্চলগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে এবং পশ্চিমা কোম্পানিগুলোর জন্য এই পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতের প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলছে। বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ গাম অ্যারাবিক উৎপাদনকারী দেশ সুদান। গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটি থেকে এই পণ্য সরবরাহ ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। এই বাহিনী গত বছর সুদানের প্রধান গাম সংগ্রহ এলাকা কর্দোফান ও দারফুরের নিয়ন্ত্রণ নেয়। আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে থাকা এই অঞ্চলগুলোতে কাঁচামালটির নিয়ন্ত্রণ এখন একচেটিয়াভাবে সুদানি ব্যবসায়ীদের হাতে। অবশ্য তাদের আরএসএফকে বখরা দিতে হয়। আশঙ্কার বিষয় হলো, এই গাম প্রায়শই অনানুষ্ঠানিক চ্যানেল ও সীমান্ত বাজারের মাধ্যমে সঠিক সার্টিফিকেশন ছাড়াই পাচার করা হয়।
সংঘাত শুরুর আগে কাঁচা গাম রাজধানী খার্তুমে বাছাই করা হতো এবং এরপর পোর্ট সুদান থেকে সুয়েজখালের মাধ্যমে জাহাজে করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হতো। কিন্তু আরএসএফ মূল উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে পশ্চিম কর্দোফান এবং দক্ষিণ সুদানের সীমান্ত বরাবর চোরাচালান বাজারে বিপুল পরিমাণে গাম অ্যারাবিক দেখা যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা স্থানীয় ভূমিমালিকদের কাছ থেকে গাম সংগ্রহ করে এবং মার্কিন ডলারের বিনিময়ে দক্ষিণ সুদানের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে।
আরএসএফ এই পুরো প্রক্রিয়ার ‘সুরক্ষা’ দেওয়ার বিনিময়ে কেবল নগদ অর্থই গ্রহণ করে না, পাশাপাশি সোনা, গবাদিপশু, কৃষি এবং ব্যাংকিংয়ের মতো অন্যান্য লাভজনক উপাদান গ্রহণ করে।
গাম অ্যারাবিকের এই নতুন, অস্পষ্ট বাণিজ্য শিল্পের উৎস এবং ক্রেতাদের মধ্যে গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, পাচারকৃত পণ্যটি বিশ্বব্যাপী উপাদান প্রস্তুতকারকদের ক্রয়ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ করতে পারে।
শিল্প প্রতিনিধিরা উল্লেখ করেছেন, ঐতিহ্যগত সরবরাহ শৃঙ্খল সংঘাতের কারণে বিপর্যস্ত হয়েছে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিশেষ খাদ্য উপাদান সরবরাহকারী ইকো-এগ্রির গ্লোবাল মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ হার্ভে ক্যানেভেট সুদানে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতার প্রভাব সম্পর্কে বলেন: ‘আজ, সুদানের গামের সবটাই পাচার করা হয়। কারণ, দেশে কোনো প্রকৃত কর্তৃপক্ষ নেই।’
মূলত আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে থাকা বেশির ভাগ গাম অ্যারাবিক উৎপাদন কোনো কার্যকর সরকারি কর্তৃপক্ষ তদারকি করে না। ফলে ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে চোরাবাজারের আশ্রয় নেন, যেখানে বৈধতা যাচাই করা কঠিন। এই অবস্থায় ক্রেতারা ক্রমশ সতর্ক হয়ে উঠছেন সেডেক্স সার্টিফিকেশন ছাড়া সরবরাহ গ্রহণ করতে। সেডেক্স সার্টিফিকেশন সরবরাহকারীদের টেকসই এবং নৈতিক মানদণ্ড পূরণের মূল নিশ্চয়তা।
কিছু ব্যবসায়ী এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অস্বাভাবিক কম দামে পণ্য সরবরাহ করছেন। এই কমদামি পণ্যের মূল উৎস প্রায়শই চাদ এবং সেনেগালের মতো প্রতিবেশী দেশগুলো। মিসর, দক্ষিণ সুদানের মতো দেশগুলো থেকেও বিক্রি হচ্ছে এই উপাদান। অথচ নিকট অতীতেও গাম অ্যারাবিকের রপ্তানি বাজারে এসব দেশের তেমন কোনো ভূমিকা ছিল না।
চোরাচালান হওয়ার কারণে গাম অ্যারাবিকের দাম যথেষ্ট কমে যাচ্ছে। যেমন—এক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় এক বিক্রেতা জানান, তিনি প্রতি মেট্রিক টন গাম অ্যারাবিক বিক্রি করতে চান ১ হাজার ৯০০ ডলারে, যেখানে ক্রেতার অনুমান ছিল, প্রতি মেট্রিক টনের দাম হতে পারে ৩ হাজার ডলার। এ ছাড়া, এই বাজার এমনভাবে পরিচালিত হয়, যার ফলে মূল্য নির্ধারণ, সময়সূচি নির্ধারণ এমনকি সরবরাহ রুটের বিষয়েও অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করা হয় এবং সঠিক ডকুমেন্টেশনের অনুপস্থিতি পণ্যের উৎস ট্রেস করা কঠিন করে তোলে।
খার্তুমভিত্তিক ইউনিটি অ্যারাবিক গামের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ হুসেইন সর্জের কথায় এই চোরাচালানের সঙ্গে আরএসএফের সম্পৃক্ততা আরও স্পষ্ট হয়। সর্জে জানান, ডিসেম্বরে সেনেগাল ও চাদের ব্যবসায়ীরা তাঁর কাছে গাম অ্যারাবিক বিক্রি করতে চান। তার আগে আরএসএফ ২০২৩ সালে সর্জের সব গাম সরবরাহ বাজেয়াপ্ত করে। পরে তিনি মিসরে পালিয়ে যান। কম দাম এবং সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্টেশনের অভাবের কারণে সর্জে পণ্য ক্রয় করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।
সর্জে বলেন, ‘পাচারকারীরা আরএসএফের মাধ্যমে গাম অ্যারাবিক পাচার করতে সক্ষম হয়। কারণ, আরএসএফ পুরো উৎপাদন অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে।’
মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলে আরএসএফের এক কর্মকর্তা তাঁর গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের সমর্থনে বলেন, তারা ‘গাম অ্যারাবিকের’ বাণিজ্য সুরক্ষিত করেছে এবং এটি করতে গিয়ে নামমাত্র ‘ফি গ্রহণ’ করেছে। তিনি জানান, আরএসএফের বিরুদ্ধে আনা আইন ভঙ্গের অভিযোগ মূলত সম্মানহানির লক্ষ্যে প্রচারিত।
তবে গাম অ্যারাবিক সংশ্লিষ্ট শিল্প খাতের লোকজন এই পণ্যের ওপর বৈধ কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ না থাকার বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। নেক্সিরা, অ্যালান্ড অ্যান্ড রবার্ট এবং ইনগ্রেডিয়নের মতো বেশ কয়েকটি কোম্পানি সুদান থেকে গাম অ্যারাবিকা না কিনে বিকল্প উৎসের কথা ভাবছেন। নেক্সিরা সুদান ছাড়াও আরও ১০টি দেশ থেকে কেনার প্রচেষ্টা শুরু করেছে। ইনগ্রেডিয়ন সরবরাহ শৃঙ্খলে লেনদেনে বৈধতা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর প্রোটোকল বজায় রাখার চেষ্টা করছে এখনো।
প্রচলিত বাজার ছাড়াও, গাম অ্যারাবিকের অবৈধ বাণিজ্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও ছড়িয়ে পড়েছে। ইসম সিদ্দিক নামে ব্রিটেনে আশ্রয় নেওয়া এক সুদানি জানান, ২০২৩ সালের এপ্রিলে তিনি নমুনা হিসেবে তিন সুটকেস গাম নিয়ে দেশ ছাড়েন। পরে তার খার্তুমে তাঁর গুদামগুলো লুট করে আরএসএফ।
ইসম সিদ্দিক জানান, এক বছর পরে তাঁর ব্র্যান্ডেড গাম একটি অনলাইন ফেসবুক গ্রুপে বিক্রির জন্য দেখা যায়। তিনি জানান, এ থেকে এটি স্পষ্ট যে, আরএসএফ কেবল প্রচলিত বাণিজ্য পথই নয় বরং আধুনিক বিক্রয় চ্যানেলগুলোকেও ব্যবহার করছে ফায়দা তোলার কাজে। এই অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্য পদ্ধতি, সীমান্ত পাচার এবং অনলাইন বিক্রি বিশ্বব্যাপী বৈধভাবে গাম অ্যারাবিক কেনা কোম্পানিগুলোর জন্য জটিল চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
সুদানের সংকট বিশ্বব্যাপী গাম অ্যারাবিকের বাজারকে অবৈধ চ্যানেল এবং সন্দেহজনক অনুশীলনের এক গোলকধাঁধায় পরিণত করেছে। আরএসএফের প্রভাব সরবরাহ শৃঙ্খলের প্রতিটি ধাপে থাকায় ক্রেতারা ঝুঁকি গ্রহণ বা বিকল্প উৎস থেকে পণ্য ক্রয়ে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু উৎস কম থাকায় পুরো বিষয়টি এখন আরএসএফের দয়ার ওপর নির্ভর করছে।
আরও খবর পড়ুন:

মাহভাশ সিদ্দিকি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত। এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
৩৫ মিনিট আগে
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের সুবিন্যস্ত চুলের বাহার নজর কাড়ার মতো। তবে তিনি এখন এক অন্য অভিযানে নেমেছেন—দেশের টাকমাথা মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ব্রত। তাঁর মূল লক্ষ্য—দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থা। তিনি প্রস্তাব করেছেন, চুল পড়ার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ এখন থেকে এই বিমা থেকেই মেটানো হোক।
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কূটনীতিক মাহভাশ সিদ্দিকি এইচ-১বি ভিসা নিয়ে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভারতীয়রা এইচ-১বি ভিসা পেতে জালিয়াতি ও ঘুষ লেনদেন করছেন। তাঁর মতে, অযোগ্য প্রার্থীরা এই ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ মার্কিন কর্মীদের কর্মসংস্থান দখল করছেন। এই দুর্নীতির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এইচ-১বি ভিসা কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন।
অ্যান্টি ইমিগ্রেশন থিংকট্যাংক সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজে (সিআইএস) লেখা এক নিবন্ধে মাহভাশ সিদ্দিকি ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ের মার্কিন কনস্যুলেটে জুনিয়র অফিসার হিসেবে তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
এর আগে এক পডকাস্টে মাহভাশ সিদ্দিকি বলেন, চেন্নাইয়ে তিনি ১৫ জন জুনিয়র ভিসা কর্মকর্তার একজন ছিলেন। তিনি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত, এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
মাহভাশ সিদ্দিকি অভিযোগ করেন, অধিকাংশ আবেদনকারীর কম্পিউটার সায়েন্সের ডিগ্রি থাকলেও তাঁদের মৌলিক কোডিং জ্ঞান নেই। হায়দরাবাদের আমিরপেট এলাকায় জাল ডিগ্রি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও জাল ম্যারেজ সার্টিফিকেট বিক্রির একটি ‘শিল্প’ গড়ে উঠেছে বলে তিনি দাবি করেন।
মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র উভয় স্থানেই দুর্নীতিবাজ এইচআর কর্মকর্তারা জাল চাকরির চিঠি তৈরি করতে সহায়তা করেন। তিনি একে একটি ‘ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড সিস্টেম’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি অনুযায়ী, এই ভিসাব্যবস্থার অপব্যবহার মার্কিন কর্মীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যেমন—ভারতীয়দের জালিয়াতির ফলে যোগ্য মার্কিন আইটি গ্র্যাজুয়েটদের সরিয়ে কম যোগ্য এইচ-১বি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
ভারতীয় লবিস্ট ও সিলিকন ভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন মাহভাশ সিদ্দিকি। তাঁর দাবি, তাঁরা মার্কিন কর্মীদের অদক্ষ হিসেবে তুলে ধরতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, মার্কিন কংগ্রেস বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক সময়ই অবগত নয় এবং ভুল তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্ত হচ্ছে।
যদিও এইচ-১বি কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ দেওয়া, মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, এটি কার্যত একটি দেশের আধিপত্যে পরিণত হয়ে অভিবাসনের শর্টকাটে রূপ নিয়েছে।
তবে কেবল আইটি সেক্টরেই নয়, বরং চিকিৎসাক্ষেত্রের ভিসা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি, ভারতের অনেক মেডিকেল গ্র্যাজুয়েট কোটা বা ঘুষের মাধ্যমে মেডিকেলে ভর্তি হয়ে জে-১ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন এবং মার্কিন চিকিৎসকদের তুলনায় নিম্নমানের দক্ষতা নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি মার্কিন সরকারকে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। সুপারিশ হিসেবে তিনি এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় নতুন ভিসা প্রদান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা, ডিগ্রি ও দক্ষতা যাচাই, পর্যাপ্ত আমেরিকান কর্মী থাকলে সেই সেক্টরে বিদেশি নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা ও জালিয়াতি ধরা পড়লে জরিমানা এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কূটনীতিক মাহভাশ সিদ্দিকি এইচ-১বি ভিসা নিয়ে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভারতীয়রা এইচ-১বি ভিসা পেতে জালিয়াতি ও ঘুষ লেনদেন করছেন। তাঁর মতে, অযোগ্য প্রার্থীরা এই ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ মার্কিন কর্মীদের কর্মসংস্থান দখল করছেন। এই দুর্নীতির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এইচ-১বি ভিসা কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন।
অ্যান্টি ইমিগ্রেশন থিংকট্যাংক সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজে (সিআইএস) লেখা এক নিবন্ধে মাহভাশ সিদ্দিকি ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ের মার্কিন কনস্যুলেটে জুনিয়র অফিসার হিসেবে তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
এর আগে এক পডকাস্টে মাহভাশ সিদ্দিকি বলেন, চেন্নাইয়ে তিনি ১৫ জন জুনিয়র ভিসা কর্মকর্তার একজন ছিলেন। তিনি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত, এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
মাহভাশ সিদ্দিকি অভিযোগ করেন, অধিকাংশ আবেদনকারীর কম্পিউটার সায়েন্সের ডিগ্রি থাকলেও তাঁদের মৌলিক কোডিং জ্ঞান নেই। হায়দরাবাদের আমিরপেট এলাকায় জাল ডিগ্রি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও জাল ম্যারেজ সার্টিফিকেট বিক্রির একটি ‘শিল্প’ গড়ে উঠেছে বলে তিনি দাবি করেন।
মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র উভয় স্থানেই দুর্নীতিবাজ এইচআর কর্মকর্তারা জাল চাকরির চিঠি তৈরি করতে সহায়তা করেন। তিনি একে একটি ‘ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড সিস্টেম’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি অনুযায়ী, এই ভিসাব্যবস্থার অপব্যবহার মার্কিন কর্মীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যেমন—ভারতীয়দের জালিয়াতির ফলে যোগ্য মার্কিন আইটি গ্র্যাজুয়েটদের সরিয়ে কম যোগ্য এইচ-১বি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
ভারতীয় লবিস্ট ও সিলিকন ভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন মাহভাশ সিদ্দিকি। তাঁর দাবি, তাঁরা মার্কিন কর্মীদের অদক্ষ হিসেবে তুলে ধরতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, মার্কিন কংগ্রেস বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক সময়ই অবগত নয় এবং ভুল তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্ত হচ্ছে।
যদিও এইচ-১বি কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ দেওয়া, মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, এটি কার্যত একটি দেশের আধিপত্যে পরিণত হয়ে অভিবাসনের শর্টকাটে রূপ নিয়েছে।
তবে কেবল আইটি সেক্টরেই নয়, বরং চিকিৎসাক্ষেত্রের ভিসা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি, ভারতের অনেক মেডিকেল গ্র্যাজুয়েট কোটা বা ঘুষের মাধ্যমে মেডিকেলে ভর্তি হয়ে জে-১ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন এবং মার্কিন চিকিৎসকদের তুলনায় নিম্নমানের দক্ষতা নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি মার্কিন সরকারকে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। সুপারিশ হিসেবে তিনি এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় নতুন ভিসা প্রদান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা, ডিগ্রি ও দক্ষতা যাচাই, পর্যাপ্ত আমেরিকান কর্মী থাকলে সেই সেক্টরে বিদেশি নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা ও জালিয়াতি ধরা পড়লে জরিমানা এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

গাম অ্যারাবিক! একাশিয়া গাছ থেকে প্রাপ্ত এক ধরনের প্রাকৃতিক পদার্থ, যা কোকা-কোলা, এমঅ্যান্ডএমের তৈরি মিষ্টি চকলেট, ল’রিয়েলের লিপস্টিক, নেসলের পশুখাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের উপাদান মিশ্রণ স্থিতিস্থাপক ও ঘন করতে ব্যবহৃত হয়। বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে...
০৫ মার্চ ২০২৫
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের সুবিন্যস্ত চুলের বাহার নজর কাড়ার মতো। তবে তিনি এখন এক অন্য অভিযানে নেমেছেন—দেশের টাকমাথা মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ব্রত। তাঁর মূল লক্ষ্য—দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থা। তিনি প্রস্তাব করেছেন, চুল পড়ার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ এখন থেকে এই বিমা থেকেই মেটানো হোক।
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন। অ্যাসাঞ্জের দাবি, এই পুরস্কার দিয়ে নোবেল তহবিলের ‘চরম অপব্যবহার’ করা হয়েছে এবং সুইডিশ আইনের আওতায় এটি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে সহায়তার শামিল।
অভিযোগে অ্যাসাঞ্জ বলেন, শান্তির প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত নোবেল পুরস্কারকে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ‘যুদ্ধের হাতিয়ারে’ পরিণত করা হয়েছে। তিনি মাচাদোর হাতে পুরস্কারের অর্থ হিসেবে বরাদ্দ ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় ১৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা) হস্তান্তর স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছেন। অভিযোগপত্রে নোবেল ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট ৩০ জনের বিরুদ্ধে তহবিল অপব্যবহার, যুদ্ধাপরাধ ও আগ্রাসী অপরাধে অর্থায়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।
চলতি বছরের অক্টোবরে নোবেল কমিটি মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেয়। তাদের বক্তব্য ছিল—মাচাদো ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং স্বৈরতন্ত্র থেকে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য কাজ করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত শুরু থেকেই বিতর্কের জন্ম দেয়। বিশেষ করে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের প্রতি মাচাদোর প্রকাশ্য সমর্থন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর ফোনালাপ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। মাচাদো ক্ষমতায় গেলে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের অঙ্গীকারও করেছেন।
অ্যাসাঞ্জ দাবি করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে সামরিক চাপ প্রয়োগের যে নীতিকে মাচাদো সমর্থন করেছেন, তা তাঁকে শান্তিতে নোবেল পাওয়ার যোগ্যতা থেকে ‘সম্পূর্ণভাবে বাদ’ দেয়। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, এই সামরিক অভিযানে ইতিমধ্যে বহু প্রাণহানি ঘটেছে এবং ভেনেজুয়েলায় আগ্রাসনের আশঙ্কা বাড়ছে।
আলফ্রেড নোবেলের উইলের কথা উল্লেখ করে অ্যাসাঞ্জ বলেন, ১৮৯৫ সালে আলফ্রেড নোবেল স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন—শান্তিতে নোবেল পুরস্কার সেই ব্যক্তিকে দিতে হবে, যিনি মানবজাতির কল্যাণে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন এবং জাতিগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। উইকিলিকসের পক্ষ থেকেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, পুরস্কারের অর্থ মানবিক উদ্দেশ্যের বদলে আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধে ব্যবহৃত হতে পারে।
নরওয়ের অসলোতে একটি কমিটি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দিলেও অ্যাসাঞ্জ যুক্তি দিয়েছেন—সুইডেনের স্টকহোমভিত্তিক নোবেল ফাউন্ডেশনকেই এই পুরস্কারের আর্থিক দায়ভার নিতে হবে। সুইডিশ পুলিশ জানিয়েছে, তারা অ্যাসাঞ্জের অভিযোগ গ্রহণ করেছে এবং বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন। অ্যাসাঞ্জের দাবি, এই পুরস্কার দিয়ে নোবেল তহবিলের ‘চরম অপব্যবহার’ করা হয়েছে এবং সুইডিশ আইনের আওতায় এটি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে সহায়তার শামিল।
অভিযোগে অ্যাসাঞ্জ বলেন, শান্তির প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত নোবেল পুরস্কারকে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ‘যুদ্ধের হাতিয়ারে’ পরিণত করা হয়েছে। তিনি মাচাদোর হাতে পুরস্কারের অর্থ হিসেবে বরাদ্দ ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় ১৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা) হস্তান্তর স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছেন। অভিযোগপত্রে নোবেল ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট ৩০ জনের বিরুদ্ধে তহবিল অপব্যবহার, যুদ্ধাপরাধ ও আগ্রাসী অপরাধে অর্থায়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।
চলতি বছরের অক্টোবরে নোবেল কমিটি মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেয়। তাদের বক্তব্য ছিল—মাচাদো ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং স্বৈরতন্ত্র থেকে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য কাজ করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত শুরু থেকেই বিতর্কের জন্ম দেয়। বিশেষ করে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের প্রতি মাচাদোর প্রকাশ্য সমর্থন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর ফোনালাপ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। মাচাদো ক্ষমতায় গেলে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের অঙ্গীকারও করেছেন।
অ্যাসাঞ্জ দাবি করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে সামরিক চাপ প্রয়োগের যে নীতিকে মাচাদো সমর্থন করেছেন, তা তাঁকে শান্তিতে নোবেল পাওয়ার যোগ্যতা থেকে ‘সম্পূর্ণভাবে বাদ’ দেয়। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, এই সামরিক অভিযানে ইতিমধ্যে বহু প্রাণহানি ঘটেছে এবং ভেনেজুয়েলায় আগ্রাসনের আশঙ্কা বাড়ছে।
আলফ্রেড নোবেলের উইলের কথা উল্লেখ করে অ্যাসাঞ্জ বলেন, ১৮৯৫ সালে আলফ্রেড নোবেল স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন—শান্তিতে নোবেল পুরস্কার সেই ব্যক্তিকে দিতে হবে, যিনি মানবজাতির কল্যাণে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন এবং জাতিগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। উইকিলিকসের পক্ষ থেকেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, পুরস্কারের অর্থ মানবিক উদ্দেশ্যের বদলে আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধে ব্যবহৃত হতে পারে।
নরওয়ের অসলোতে একটি কমিটি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দিলেও অ্যাসাঞ্জ যুক্তি দিয়েছেন—সুইডেনের স্টকহোমভিত্তিক নোবেল ফাউন্ডেশনকেই এই পুরস্কারের আর্থিক দায়ভার নিতে হবে। সুইডিশ পুলিশ জানিয়েছে, তারা অ্যাসাঞ্জের অভিযোগ গ্রহণ করেছে এবং বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

গাম অ্যারাবিক! একাশিয়া গাছ থেকে প্রাপ্ত এক ধরনের প্রাকৃতিক পদার্থ, যা কোকা-কোলা, এমঅ্যান্ডএমের তৈরি মিষ্টি চকলেট, ল’রিয়েলের লিপস্টিক, নেসলের পশুখাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের উপাদান মিশ্রণ স্থিতিস্থাপক ও ঘন করতে ব্যবহৃত হয়। বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে...
০৫ মার্চ ২০২৫
মাহভাশ সিদ্দিকি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত। এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
৩৫ মিনিট আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের সুবিন্যস্ত চুলের বাহার নজর কাড়ার মতো। তবে তিনি এখন এক অন্য অভিযানে নেমেছেন—দেশের টাকমাথা মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ব্রত। তাঁর মূল লক্ষ্য—দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থা। তিনি প্রস্তাব করেছেন, চুল পড়ার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ এখন থেকে এই বিমা থেকেই মেটানো হোক।
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের সুবিন্যস্ত চুলের বাহার নজর কাড়ার মতো। তবে তিনি এখন এক অন্য অভিযানে নেমেছেন—দেশের টাকমাথা মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ব্রত। তাঁর মূল লক্ষ্য—দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থা। তিনি প্রস্তাব করেছেন, চুল পড়ার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ এখন থেকে এই বিমা থেকেই মেটানো হোক।
প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং গত মঙ্গলবার এক সরকারি ব্রিফিংয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে এই সাহসী প্রস্তাব দেন। তিনি যুক্তি দেখান, একসময় চুল পড়ার চিকিৎসাকে স্রেফ ‘প্রসাধন’ বা সাজসজ্জা হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু আধুনিক সময়ে এটি মানুষের কাছে রীতিমতো ‘টিকে থাকার লড়াই’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য বিমা কেবল অসুস্থতাজনিত কারণে চুল পড়লে তার খরচ বহন করে। কিন্তু বংশগত কারণে টাক পড়লে বিমার টাকা পাওয়া যায় না। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জং ইউন-কিয়ং স্পষ্ট জানিয়েছেন, যেহেতু এটি জীবন বা স্বাস্থ্যের জন্য সরাসরি হুমকি নয়, তাই একে বিমার আওতাভুক্ত করা হয়নি। তবে প্রেসিডেন্ট লি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘বংশগত সমস্যাকে কেন রোগ হিসেবে দেখা হবে না?’
দক্ষিণ কোরিয়া কঠোর সৌন্দর্যের মানদণ্ডের জন্য পরিচিত। সেখানে টাক পড়া এক ধরনের সামাজিক কলঙ্ক, যা বিশেষ করে তরুণদের খুব কষ্ট দেয়। সরকারি তথ্য বলছে—গত বছর চুল পড়ার সমস্যায় হাসপাতালে যাওয়া ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে ৪০ শতাংশই ছিল ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী।
৩৩ বছর বয়সী লি ওন-উ নামে এক যুবক জানান, সামনের দিকে চুল কমে যাওয়ায় তিনি কোনো হেয়ার স্টাইল করতে পারেন না। তাঁর ভাষায়, ‘নিজেকে অগোছালো আর কুৎসিত মনে হয়, যা আমার আত্মবিশ্বাস পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়েছে।’
প্রেসিডেন্টের এই প্রস্তাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে তাঁকে ‘ইতিহাসের সেরা প্রেসিডেন্ট’ বলে আকাশচুম্বী প্রশংসা করছেন। তবে সবাই কিন্তু উচ্ছ্বসিত নন। খোদ ভুক্তভোগীদের মধ্যেও কেউ কেউ একে দেখছেন ‘ভোট পাওয়ার সস্তা কৌশল’ হিসেবে।
সমালোচকদের ভাষ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থা গত বছর বড় ধরনের লোকসানের (প্রায় ৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার) মুখে পড়েছে। প্রবীণ মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এই চাপ আরও বাড়বে। কোরিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, টাকের চেয়েও মারাত্মক অনেক রোগ আছে যেগুলোতে আগে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া উচিত।
নেটিজেনদের একাংশ বলছেন, যেখানে স্যানিটারি প্যাড বা স্তন ক্যানসারের ওষুধের খরচ দিতেই সরকারি তহবিলের টান পড়ে, সেখানে টাকের চিকিৎসায় বিমা সুবিধা দেওয়াটা এক ধরনের ‘নিষ্ঠুর রসিকতা’।
২০২২ সালের নির্বাচনে হেরে গেলেও এবার প্রেসিডেন্ট লি জয়ী হয়েছেন। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ২০২৬-এর স্থানীয় নির্বাচন সামনে রেখে তরুণ পুরুষ ভোটারদের তুষ্ট করতেই তিনি এই ‘কৌশলী আচরণ’ করছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার তীব্র প্রতিযোগিতামূলক সমাজে তরুণেরা এমনিতেই কোণঠাসা। তাদের মনে এই বিশ্বাস জন্মানো যে রাষ্ট্র তাদের ছোটখাটো সমস্যা নিয়েও ভাবছে—এটিই হতে পারে লির রাজনৈতিক লক্ষ্য।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের সুবিন্যস্ত চুলের বাহার নজর কাড়ার মতো। তবে তিনি এখন এক অন্য অভিযানে নেমেছেন—দেশের টাকমাথা মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ব্রত। তাঁর মূল লক্ষ্য—দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থা। তিনি প্রস্তাব করেছেন, চুল পড়ার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ এখন থেকে এই বিমা থেকেই মেটানো হোক।
প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং গত মঙ্গলবার এক সরকারি ব্রিফিংয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে এই সাহসী প্রস্তাব দেন। তিনি যুক্তি দেখান, একসময় চুল পড়ার চিকিৎসাকে স্রেফ ‘প্রসাধন’ বা সাজসজ্জা হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু আধুনিক সময়ে এটি মানুষের কাছে রীতিমতো ‘টিকে থাকার লড়াই’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য বিমা কেবল অসুস্থতাজনিত কারণে চুল পড়লে তার খরচ বহন করে। কিন্তু বংশগত কারণে টাক পড়লে বিমার টাকা পাওয়া যায় না। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জং ইউন-কিয়ং স্পষ্ট জানিয়েছেন, যেহেতু এটি জীবন বা স্বাস্থ্যের জন্য সরাসরি হুমকি নয়, তাই একে বিমার আওতাভুক্ত করা হয়নি। তবে প্রেসিডেন্ট লি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘বংশগত সমস্যাকে কেন রোগ হিসেবে দেখা হবে না?’
দক্ষিণ কোরিয়া কঠোর সৌন্দর্যের মানদণ্ডের জন্য পরিচিত। সেখানে টাক পড়া এক ধরনের সামাজিক কলঙ্ক, যা বিশেষ করে তরুণদের খুব কষ্ট দেয়। সরকারি তথ্য বলছে—গত বছর চুল পড়ার সমস্যায় হাসপাতালে যাওয়া ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে ৪০ শতাংশই ছিল ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী।
৩৩ বছর বয়সী লি ওন-উ নামে এক যুবক জানান, সামনের দিকে চুল কমে যাওয়ায় তিনি কোনো হেয়ার স্টাইল করতে পারেন না। তাঁর ভাষায়, ‘নিজেকে অগোছালো আর কুৎসিত মনে হয়, যা আমার আত্মবিশ্বাস পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়েছে।’
প্রেসিডেন্টের এই প্রস্তাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে তাঁকে ‘ইতিহাসের সেরা প্রেসিডেন্ট’ বলে আকাশচুম্বী প্রশংসা করছেন। তবে সবাই কিন্তু উচ্ছ্বসিত নন। খোদ ভুক্তভোগীদের মধ্যেও কেউ কেউ একে দেখছেন ‘ভোট পাওয়ার সস্তা কৌশল’ হিসেবে।
সমালোচকদের ভাষ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থা গত বছর বড় ধরনের লোকসানের (প্রায় ৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার) মুখে পড়েছে। প্রবীণ মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এই চাপ আরও বাড়বে। কোরিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, টাকের চেয়েও মারাত্মক অনেক রোগ আছে যেগুলোতে আগে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া উচিত।
নেটিজেনদের একাংশ বলছেন, যেখানে স্যানিটারি প্যাড বা স্তন ক্যানসারের ওষুধের খরচ দিতেই সরকারি তহবিলের টান পড়ে, সেখানে টাকের চিকিৎসায় বিমা সুবিধা দেওয়াটা এক ধরনের ‘নিষ্ঠুর রসিকতা’।
২০২২ সালের নির্বাচনে হেরে গেলেও এবার প্রেসিডেন্ট লি জয়ী হয়েছেন। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ২০২৬-এর স্থানীয় নির্বাচন সামনে রেখে তরুণ পুরুষ ভোটারদের তুষ্ট করতেই তিনি এই ‘কৌশলী আচরণ’ করছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার তীব্র প্রতিযোগিতামূলক সমাজে তরুণেরা এমনিতেই কোণঠাসা। তাদের মনে এই বিশ্বাস জন্মানো যে রাষ্ট্র তাদের ছোটখাটো সমস্যা নিয়েও ভাবছে—এটিই হতে পারে লির রাজনৈতিক লক্ষ্য।

গাম অ্যারাবিক! একাশিয়া গাছ থেকে প্রাপ্ত এক ধরনের প্রাকৃতিক পদার্থ, যা কোকা-কোলা, এমঅ্যান্ডএমের তৈরি মিষ্টি চকলেট, ল’রিয়েলের লিপস্টিক, নেসলের পশুখাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের উপাদান মিশ্রণ স্থিতিস্থাপক ও ঘন করতে ব্যবহৃত হয়। বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে...
০৫ মার্চ ২০২৫
মাহভাশ সিদ্দিকি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত। এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
৩৫ মিনিট আগে
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত চলা বৈঠকে নেতারা সিদ্ধান্ত নেন, রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ আপাতত ব্যবহার না করে বরং পুঁজিবাজার থেকে অর্থ ধার করে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা তহবিলের জোগান দেওয়া হবে। কূটনীতিকদের ভাষ্যমতে, বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে নানা আইনি ও রাজনৈতিক জটিলতা কাটানোর চেষ্টা চলেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্তোনিও কস্তা লিখেছেন, ‘চুক্তি হয়ে গেছে। ২০২৬-২৭ সালের জন্য ইউক্রেনকে প্রায় ১০৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হলো। আমরা কথা দিয়েছিলাম, আমরা তা রেখেছি।’
তহবিলের উৎস নিয়ে কস্তা বিস্তারিত কিছু না জানালেও রয়টার্সের কাছে আসা এক খসড়া নথি বলছে, এই অর্থ আসবে সরাসরি পুঁজিবাজার থেকে এবং এর নিশ্চয়তা থাকবে ইইউ বাজেটের ওপর। রাশিয়ার সম্পদ ব্যবহারের যে বিতর্কিত পরিকল্পনা নিয়ে আগে আলোচনা হচ্ছিল, তা থেকে আপাতত সরে আসা হয়েছে। তবে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদকে ভিত্তি করে কোনো ঋণ দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও সরকারগুলোর মধ্যে আলোচনা চলবে।
এই চুক্তিতে হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের ওপর কোনো আর্থিক দায় চাপানো হয়নি। কারণ দেশগুলো এই অর্থায়নে অংশ নিতে রাজি ছিল না। শর্ত অনুযায়ী, ইউক্রেন এই ঋণ তখনই শোধ করবে যখন তারা মস্কোর কাছ থেকে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ বা ‘ওয়ার রিপারেশন’ পাবে। ততক্ষণ পর্যন্ত রাশিয়ার সম্পদগুলো অচল অবস্থায় পড়ে থাকবে। তবে প্রয়োজনে সেই সম্পদ থেকে ঋণ শোধ করার অধিকারও ইইউ নিজের হাতে রেখেছে।
এক ইইউ কূটনীতিক রয়টার্সকে বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য অন্তত আগামী দুই বছরের অর্থের সংস্থান নিশ্চিত হওয়াটা একটা ইতিবাচক দিক।’ তবে অন্য একজন কূটনীতিকের মন্তব্য ছিল খানিকটা তির্যক। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ইউক্রেনকে বাঁচানোর চেয়ে বরং নিজেদের মান বাঁচানোর চেষ্টা করছি।’
রাশিয়ার টাকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বেলজিয়াম। রাশিয়ার জব্দ করা ২১০ বিলিয়ন ইউরোর মধ্যে ১৮৫ বিলিয়ন ইউরোই আছে বেলজিয়ামের ইউরোক্লিয়ার নামক প্রতিষ্ঠানে। মস্কোর আইনি ও আর্থিক পাল্টা আঘাতের ভয়ে বেলজিয়াম সরকার বেশ আতঙ্কিত ছিল। ক্রেমলিন আগেই জানিয়ে রেখেছে, তাদের সম্পদ ধরা হলে তারা আদালতে যাবে এবং রাশিয়ায় থাকা বিদেশি সম্পদ বাজেয়াপ্ত করবে।
এই বৈঠকের আগে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎস সতর্ক করে বলেছিলেন, চুক্তির সম্ভাবনা ছিল ‘ফিফটি-ফিফটি।’ বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট ডি ওয়েভারও আইনি ও আর্থিক ঝুঁকি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন অন্য ইইউ দেশগুলো যেন সম্ভাব্য সব ক্ষতির দায়ভার নিতে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়।
শুক্রবার সকালে অবশ্য ডি ওয়েভার বেশ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার থেকে ঋণ নেওয়ার এই সিদ্ধান্তের ফলে ইইউ দেশগুলোর মধ্যে অন্তত বড় কোনো ‘বিশৃঙ্খলা বা বিভাজন’ তৈরি হয়নি।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই সম্পদ ব্যবহারের যেকোনো চেষ্টা হলে তারা ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করবে। বিশ্লেষক ক্রিস উইফার মনে করেন, মস্কো বিষয়টিকে একটি ‘আর্থিক যুদ্ধ’ হিসেবে দেখবে এবং কড়া প্রতিশোধ নেবে। তিনি বলেন, অনেক ইইউ রাষ্ট্রই এখন সরাসরি ইউক্রেনকে অর্থ দিতে হিমশিম খাচ্ছে, তাই তারা মরিয়া হয়ে বিকল্প কোনো উৎসের সন্ধান করছে।

ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী ২ বছরের জন্য বড় অঙ্কের সুদহীন ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আজ শুক্রবার ভোরের দিকে এই ঘোষণা দেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত চলা বৈঠকে নেতারা সিদ্ধান্ত নেন, রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ আপাতত ব্যবহার না করে বরং পুঁজিবাজার থেকে অর্থ ধার করে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা তহবিলের জোগান দেওয়া হবে। কূটনীতিকদের ভাষ্যমতে, বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে নানা আইনি ও রাজনৈতিক জটিলতা কাটানোর চেষ্টা চলেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্তোনিও কস্তা লিখেছেন, ‘চুক্তি হয়ে গেছে। ২০২৬-২৭ সালের জন্য ইউক্রেনকে প্রায় ১০৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হলো। আমরা কথা দিয়েছিলাম, আমরা তা রেখেছি।’
তহবিলের উৎস নিয়ে কস্তা বিস্তারিত কিছু না জানালেও রয়টার্সের কাছে আসা এক খসড়া নথি বলছে, এই অর্থ আসবে সরাসরি পুঁজিবাজার থেকে এবং এর নিশ্চয়তা থাকবে ইইউ বাজেটের ওপর। রাশিয়ার সম্পদ ব্যবহারের যে বিতর্কিত পরিকল্পনা নিয়ে আগে আলোচনা হচ্ছিল, তা থেকে আপাতত সরে আসা হয়েছে। তবে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদকে ভিত্তি করে কোনো ঋণ দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও সরকারগুলোর মধ্যে আলোচনা চলবে।
এই চুক্তিতে হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের ওপর কোনো আর্থিক দায় চাপানো হয়নি। কারণ দেশগুলো এই অর্থায়নে অংশ নিতে রাজি ছিল না। শর্ত অনুযায়ী, ইউক্রেন এই ঋণ তখনই শোধ করবে যখন তারা মস্কোর কাছ থেকে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ বা ‘ওয়ার রিপারেশন’ পাবে। ততক্ষণ পর্যন্ত রাশিয়ার সম্পদগুলো অচল অবস্থায় পড়ে থাকবে। তবে প্রয়োজনে সেই সম্পদ থেকে ঋণ শোধ করার অধিকারও ইইউ নিজের হাতে রেখেছে।
এক ইইউ কূটনীতিক রয়টার্সকে বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য অন্তত আগামী দুই বছরের অর্থের সংস্থান নিশ্চিত হওয়াটা একটা ইতিবাচক দিক।’ তবে অন্য একজন কূটনীতিকের মন্তব্য ছিল খানিকটা তির্যক। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ইউক্রেনকে বাঁচানোর চেয়ে বরং নিজেদের মান বাঁচানোর চেষ্টা করছি।’
রাশিয়ার টাকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বেলজিয়াম। রাশিয়ার জব্দ করা ২১০ বিলিয়ন ইউরোর মধ্যে ১৮৫ বিলিয়ন ইউরোই আছে বেলজিয়ামের ইউরোক্লিয়ার নামক প্রতিষ্ঠানে। মস্কোর আইনি ও আর্থিক পাল্টা আঘাতের ভয়ে বেলজিয়াম সরকার বেশ আতঙ্কিত ছিল। ক্রেমলিন আগেই জানিয়ে রেখেছে, তাদের সম্পদ ধরা হলে তারা আদালতে যাবে এবং রাশিয়ায় থাকা বিদেশি সম্পদ বাজেয়াপ্ত করবে।
এই বৈঠকের আগে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎস সতর্ক করে বলেছিলেন, চুক্তির সম্ভাবনা ছিল ‘ফিফটি-ফিফটি।’ বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট ডি ওয়েভারও আইনি ও আর্থিক ঝুঁকি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন অন্য ইইউ দেশগুলো যেন সম্ভাব্য সব ক্ষতির দায়ভার নিতে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়।
শুক্রবার সকালে অবশ্য ডি ওয়েভার বেশ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার থেকে ঋণ নেওয়ার এই সিদ্ধান্তের ফলে ইইউ দেশগুলোর মধ্যে অন্তত বড় কোনো ‘বিশৃঙ্খলা বা বিভাজন’ তৈরি হয়নি।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই সম্পদ ব্যবহারের যেকোনো চেষ্টা হলে তারা ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করবে। বিশ্লেষক ক্রিস উইফার মনে করেন, মস্কো বিষয়টিকে একটি ‘আর্থিক যুদ্ধ’ হিসেবে দেখবে এবং কড়া প্রতিশোধ নেবে। তিনি বলেন, অনেক ইইউ রাষ্ট্রই এখন সরাসরি ইউক্রেনকে অর্থ দিতে হিমশিম খাচ্ছে, তাই তারা মরিয়া হয়ে বিকল্প কোনো উৎসের সন্ধান করছে।

গাম অ্যারাবিক! একাশিয়া গাছ থেকে প্রাপ্ত এক ধরনের প্রাকৃতিক পদার্থ, যা কোকা-কোলা, এমঅ্যান্ডএমের তৈরি মিষ্টি চকলেট, ল’রিয়েলের লিপস্টিক, নেসলের পশুখাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের উপাদান মিশ্রণ স্থিতিস্থাপক ও ঘন করতে ব্যবহৃত হয়। বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে...
০৫ মার্চ ২০২৫
মাহভাশ সিদ্দিকি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত। এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
৩৫ মিনিট আগে
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের সুবিন্যস্ত চুলের বাহার নজর কাড়ার মতো। তবে তিনি এখন এক অন্য অভিযানে নেমেছেন—দেশের টাকমাথা মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ব্রত। তাঁর মূল লক্ষ্য—দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থা। তিনি প্রস্তাব করেছেন, চুল পড়ার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ এখন থেকে এই বিমা থেকেই মেটানো হোক।
৩ ঘণ্টা আগে