সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় তৈরি একটি কফি পণ্য নিষিদ্ধ করেছে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ। কারণ ওই কফিতে পুরুষের যৌনক্ষমতা বাড়াতে প্রেসক্রিপশন করা হয়, এমন একটি ওষুধ পাওয়া গেছে।
সিঙ্গাপুর ফুড এজেন্সি (এসএফএ) জানিয়েছে, ‘কপি পেনুমবুক’ নামের ওই কফি মিশ্রণটি স্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে দেদারসে বিক্রি হচ্ছিল। পরে এটির মধ্যে ‘তাডালাফিল’ নামে একটি শক্তিশালী ওষুধের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। এই ওষুধটি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
এসএফএ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা বিভিন্ন অনলাইন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে কাজ করে এই পণ্যের তালিকা মুছে ফেলেছি এবং সংশ্লিষ্ট বিক্রেতাদের অবিলম্বে বিক্রি বন্ধ করার জন্য সতর্ক করেছি।’
আজ শুক্রবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, তাডালাফিল ওষুধটি প্রেসক্রিপশন ছাড়া অনিয়ন্ত্রিতভাবে সেবন করলে হৃদ্রোগ, স্ট্রোক, মাইগ্রেন এবং পুরুষাঙ্গের দীর্ঘস্থায়ী বেদনাদায়ক উত্থানের ঝুঁকি তৈরি হয়। বিশেষ করে, যারা হৃদ্রোগে ভুগছেন, তাঁদের জন্য এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ এটি রক্তচাপ হঠাৎ কমিয়ে দিতে পারে, বিশেষ করে নাইট্রেট-ভিত্তিক হৃদ্রোগের ওষুধের সঙ্গে গ্রহণ করলে।
এসএফএ ভোক্তাদের এই কফি না পান করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে এবং কেউ যদি এটি সেবনের পর অসুস্থ বোধ করে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সংস্থাটি আরও বলেছে—ভোক্তাদের অজানা বা অনিরীক্ষিত সূত্র থেকে কেনা খাদ্যদ্রব্য গ্রহণের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত এবং ক্রয়ের আগে যথাযথ তথ্য সংগ্রহ করা উচিত।
এর আগেও সংস্থাটি নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে বেশ কয়েকটি মালয়েশিয়ান খাদ্যপণ্য নিষিদ্ধ করেছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে ওজন কমানোর জন্য তৈরি একটি পানীয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। কারণ এতে ‘সেনোসাইডস’ নামে একটি উপাদান পাওয়া গিয়েছিল। এই উপাদান পেটে ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়া গত বছর দুটি ক্যান্ডিতেও ওষুধের উপাদান পাওয়া গিয়েছিল।
২০২২ সালে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল—যৌনক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তৈরি একটি কফি পান করার পর দুই ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁরা মাইগ্রেন ও দীর্ঘস্থায়ী বেদনাদায়ক উত্থানের সমস্যায় ভুগছিলেন।
সিঙ্গাপুর সরকার খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে এবং জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।