Ajker Patrika

বীরভূমে হোলির দিনে সংঘর্ষ, ইন্টারনেট বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক
বীরভূমের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে রাজ্য সরকার। ছবি: পিটিআই
বীরভূমের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে রাজ্য সরকার। ছবি: পিটিআই

পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরের কিছু অংশে চার দিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে রাজ্য সরকার।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গুজব ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া শহরের অন্তত পাঁচটি গ্রামে (পঞ্চায়েত এলাকায়) ইন্টারনেট ও ভয়েস ওভার ইন্টারনেট টেলিফোন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ১৪ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। সংঘর্ষের এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

রাজ্য সরকারের দেওয়া আদেশে আরও বলা হয়েছে, ভয়েস কল বা এসএমএসের ওপর কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। একইভাবে সংবাদপত্রের ওপর কোনো বিধিনিষেধ নেই।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইন্টারনেট বন্ধের জন্য রাজ্য সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। তিনি এই পরিস্থিতিকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ‘চরম অবনতির প্রমাণ’ বলে অভিহিত করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের একটি পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া রাজ্য সরকারের ‘অক্ষমতা’। এই পদক্ষেপ সংকট মোকাবিলায় প্রশাসনের ব্যর্থতার স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের মুখ রক্ষার জন্য সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির ঘটনাগুলো আড়াল করছে।

বীরভূমে ঠিক কী ঘটেছিল?

বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শুক্রবার হোলির দিনে পশ্চিমবঙ্গের সাঁইথিয়া শহরে একদল লোক ও কয়েকজন মদ্যপ ব্যক্তির মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। পরে উভয় পক্ষ একে অপরের দিকে পাথর ছুড়তে শুরু করে এবং হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে কিছু স্থানীয় বাসিন্দাও আহত হন। ফলে পরিস্থিতি দাঙ্গার আকার ধারণ করে। পরে পুলিশ মৃদু লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে বিজেপির অভিযোগ, মমতার তৃণমূল সরকার সত্য গোপন করার চেষ্টা করছে। শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, শুধু বীরভূম নয়, তমলুক, নন্দকুমার ও রাজ্যের অন্যান্য এলাকায়ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলার রাজ্যপাল ও মুখ্য সচিবকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বীরভূমের কথিত সংঘর্ষের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন। তিনি রাজ্য পুলিশের সমালোচনা করে অভিযোগ করেন, তারা ‘অকার্যকর’ হয়ে পড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত