অনলাইন ডেস্ক
গত জুলাইতে পালিয়ে যাওয়া মার্কিন সৈনিক ট্র্যাভিস কিংকে ছেড়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ং বের করে দেওয়ার পর প্রাইভেট কিংকে চীনে পাঠানো হয়েছে। তিনি এখন সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের হেফাজতে রয়েছেন। বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেএনসিএ জানিয়েছে, কিংয়ের ‘অবৈধ’ প্রবেশের তদন্ত শেষ হওয়া তাকে ছেড়ে দেওয়া হল। মার্কিন সেনাবাহিনীর অমানবিক আচরণ, বর্ণবাদ এবং মার্কিন সমাজের অসমতার দেখে মোহভঙ্গ ঘটে ২৩ বছর বয়সী ট্রাভিস কিংয়ের। এসব কারণে উত্তর কোরিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশ করার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
গত ১৮ জুলাই ট্র্যাভিস কিং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সীমান্ত পাড়ি দিয়ে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন। দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার সামরিক সীমান্তরেখার (মিলিটারি ডিমারকেশন লাইন) কাছাকাছি বেড়াতে গিয়েছিলেন ট্র্যাভিস কিং। কিন্তু তিনি ভুল করে অনুমতি না নিয়ে উত্তর কোরিয়ায় ঢুকে পড়লে তাঁকে আটক করে উত্তর কোরীয় বাহিনী।
টুইটারে শেয়ার করা এক পোস্টে তখন জাতিসংঘ কমান্ড বলেছিল, ‘একজন মার্কিন নাগরিক যৌথ নিরাপত্তা এলাকায় অবস্থিত সামরিক সীমান্তরেখা (মিলিটারি ডিমারকেশন লাইন) অতিক্রম করে ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়ায় (ডিপিআরকে) প্রবেশ করায় তাঁকে আটক করা হয়।’
১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত চলা কোরীয় যুদ্ধের পর দুই কোরিয়ার সীমারেখায় মিলিটারি ডিমারকেশন জোন চালু করা হয় এবং সেখানে জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণে একটি বহুজাতিক বাহিনী পাঠানো হয়—যা জাতিসংঘ কমান্ড নামে পরিচিত।
উত্তর কোরিয়ার জন্মলগ্ন থেকেই প্রায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নেতিবাচক সম্পর্ক বিরাজ করছে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট দেশটির নাগরিকদের জন্য উত্তর কোরিয়ায় ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে। তারপরও দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর একজন সদস্য কীভাবে উত্তর কোরিয়ায় ঢুকে পড়লেন-সেটাই তখন এক বড় প্রশ্ন হইয়ে দাঁড়ায়।
ট্র্যাভিস কিংকে আটক করার বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে শুরুর দিকে কোনো মন্তব্যই করা হয়নি। উত্তর কোরিয়া ট্রাভিস কিংকে আটকের কথা স্বীকার করার এক মাস পর এলো তাঁকে ছেঁড়ে দেওয়ার ঘোষণা।