নির্বাচিত সরকার উচ্ছেদ করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এর প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভে এরই মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ শতাধিক বেসামরিক নাগরিক। গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। এ পরিস্থিতিতে শিগগিরই দেশে নির্বাচন দেওয়ার ঘোষণা দিলেও এখন বলছে, আরও বছরদুয়েক ক্ষমতায় থাকতে চায় জান্তা।
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে গত ফেব্রুয়ারি অং সান সু চিসহ তার দলের প্রভাবশালী নেতাদের গ্রেফতার করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী।
কম্বোডিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবকে গত ৪ এপ্রিল একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জাও মিন তুন। ২০০৮ সালে মিয়ানমারের সেনা সেনাবাহিনী হাতে সংশোধিত সংবিধানের ধারা তুলে ধরে জাও মিন বলেন, বর্তমান সরকারও সাংবিধানিকভাবে বৈধ। এক বছরের মধ্যে আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করবো। যদি না পারি তাহলে আরও ছয় মাস সময় নেবো । আর তা না হলে আরও ছয় মাস সময় নেবো। সুতরাং সর্বোচ্চ দুই বছর লাগতে পারে। এরপর আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করবো। সেসময় আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর অং সান সু চি ও তার দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে সেনাবাহিনী। সামরিক বাহিনীর দাবি, গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতি করে জয় পেয়েছে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি)। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছে মিয়ানমার। দেশটিতে সেনাবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে এখন পর্যন্ত ৫০০-এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শিশুই রয়েছে অর্ধশতাধিক।