অনলাইন ডেস্ক
প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে প্রবল বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯৩। এখনো নিখোঁজ আছেন অন্তত ৮৯ জন মানুষ। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে বেসরকারি সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এই তথ্য জানিয়েছে।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের তথ্য বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, দেশজুড়ে বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যায় অন্তত ২৯৩ জন মারা গেছে এবং এখনো নিখোঁজ ৮৯ জন। মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি এই বন্যা ব্যাপক হারে গবাদিপশুরও প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি মিয়ানমার ছাড়াও উত্তর ভিয়েতনাম, লাওস এবং থাইল্যান্ডের আঘাত হেনেছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এখনো বিভিন্ন স্থানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এসব দেশে সব মিলিয়ে ৬১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে, গত বুধবার মিয়ানমারের জান্তা সরকার জানিয়েছে, বন্যার কারণে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর বা ৬ লাখ ৬০ হাজার একর জমির ধান ও অন্যান্য ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। একই সঙ্গে ১ লাখেরও বেশি বিভিন্ন ধরনের গবাদিপশু মারা গেছে।
এর আগে, জাতিসংঘ জানিয়েছিল, বন্যায় মিয়ানমারে ৬ লাখ ৩০ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাদের জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা প্রয়োজন। মিয়ানমারের জান্তা সরকারও বিদেশি সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছে। তবে ভারত সামান্য পরিমাণ সাহায্য দিলেও আর কোনো দেশ এখন পর্যন্ত দেশটিতে সহায়তা পাঠিয়েছে কি না তা জানা যায়নি।